১১ ঘরের অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন, জরিমানা

44

কর্ণফুলী উপজেলায় বিদ্যুৎ চুরিরোধে অভিযান চালিয়েছে পিডিবির ভ্রাম্যমাণ আদালত। জানা গেছে, গতকাল রবিবার সকাল থেকে পরিচালিত অভিযানে চরপাথরঘাটা, সৈন্যারটেক, খুইদ্দেরটেক এলাকায় অভিযান চালানো হয়। এ সময় ১১টি ঘরের সংযোগ বিচ্ছিন্ন এবং এসব ঘর থেকে ৬টি বৈদ্যুতিক চুলা জব্দ করা হয়। এসব চুলা জ্বালনো হতো বাইপাস লাইনের মাধ্যমে বিদ্যুৎ চুরি করে।
অবৈধভাবে বিদ্যুৎ চুরি, বৈদ্যুতিক চুলা ব্যবহারের অভিযোগে আদালত ১১টি পরিবারকে ৪ লক্ষ ৪৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছে। অভিযুক্ত এসব পরিবারকে বিদ্যুৎ আদালতে হাজিরের নির্দেশও প্রদান করা হয়েছে।
এর মধ্যে চরপাথরঘাটা এলাকার আবদুল মজিদকে ৬০ হাজার টাকা, আফসার ৫০ হাজার টাকা, নাজির আহমদ ৪০ হাজার টাকা, জানে আলম ৩৫ হাজার টাকা, রহিম খাঁন ৩০ হাজার টাকা, রেহেনা খানমকে ৪০ হাজার টাকা, আমিন খানকে ৫০ হাজার টাকা, চরলক্ষ্যা ইউনিয়নের ক্ষুইদ্দেরটেক এলাকার মাইরা খাতুনকে ৩০ হাজার টাকা, মোহাম্মদ ফরিদকে ৫০ হাজার টাকা, আবদুন নবীকে ২০ হাজার টাকা, মোহাম্মদ কায়সারকে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, কর্ণফুলীর মৌলভী বাজার, কালারপুল, চরখিজিরপুর, মইজ্জ্যারটেক, মাস্টারহাট, চরফরিদ, চরহাজারী ও পটিয়া কোলাগাঁও ইউনিয়নের দীঘিরপাড়, লালপুল, চাপড়ী এলাকায় সবচে বেশি বিদ্যুৎ চুরি হয়। এসব এলাকায় পিডিবির কর্মকর্তারা রাস্তাসহ নানা অজুহাতে অভিযান পরিচালনা না করার কারণে এসব এলাকায় বিদ্যুৎ চুরির হিড়িক পড়েছে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, গতকাল কর্ণফুলীতে অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ ও বাইপাস করে বিদ্যুৎ চুরি, ২ লক্ষ ৯ হাজার ১ শত ১১ টাকা বিদ্যুৎ বিল বকেয়া ও বৈদ্যুতিক চুলা ব্যবহারের অভিযোগে কর্ণফুলী উপজেলায় ১১ ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা ও সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে।
গতকাল রবিবার বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড, চট্টগ্রামের বিদ্যুৎ আদালত (দক্ষিণ) এর ম্যাজিস্ট্রেট আইরিন পারভীনের নেতৃত্বে কর্ণফুলীর বিভিন্ন এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকালে বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ-পটিয়ার নির্বাহী প্রকৌশলী মোরশেদ উদ্দিন, সহকারী প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর আলম, জাকের সারোয়ার খান, প্রনয়, জাহাঙ্গির আলম খান উপ-সহকারী প্রকৌশলী আলিউল ইসলাম, রাসেদুজ্জামান সরকার, আবু ছালেহ ও কারিগরি কর্মীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।