১০ বিএনপি প্রার্থীসহ ১২ জনের নির্বাচনের পথ খুললো না

37

উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের পদত্যাগপত্র গৃহীত হওয়ার আগে মনোনয়নপত্র দাখিল করায় বিএনপির ৮ প্রার্থী ও আওয়ামী লীগ সমর্থক (বিদ্রোহী) দু’জনের প্রার্থিতা স্থগিতই থাকলো। ঋণখেলাপের অভিযোগে চাঁদপুর-৪ আসনের বিএনপি প্রার্থী এম এ হান্নানেরও প্রার্থিতা স্থগিত রয়েছে। তবে হাইকোর্টের আদেশে প্রার্থিতা ফিরে পাওয়া সৈয়দপুর পৌরসভার মেয়র আমজাদ সরকারের প্রার্থিতা স্থগিত হয়ে গেছে।
হাইকোর্টে প্রার্থিতা স্থগিতাদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে তাদের আবেদনের ওপর সোমবার ‘নো অর্ডার’ আদেশ দেন আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত। অপরদিকে নীলফামারী-৪ আসনে বিএনপির প্রার্থী সৈয়দপুর পৌর মেয়রের মনোনয়ন বাতিল করে নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তের ওপর হাইকোর্টের স্থগিতাদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করেছিলেন নির্বাচন কমিশন। এ আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করে দিয়েছেন চেম্বার আদালত। খবর বাংলানিউজের
সোমবার অবকাশকালীন চেম্বার বিচারপতি মো. নূরুজ্জামানের আদালত এ আদেশ দেন। এ আদেশের ফলে এসব প্রার্থী নির্বাচন করতে পারছেন না বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা। আদালতে রিটকারীদের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী শাহ মঞ্জুরুল হক। নির্বাচন কমিশনের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মাহবুবে আলম। চেয়ারম্যান ও বিএনপি প্রার্থীদের পক্ষে ছিলেন এ এফ হাসান আরিফ ও ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল।
উপজেলা চেয়ারম্যানরা হলেন, জামালপুর-৪ আসনের সরিষাবাড়ি উপজেলা চেয়ারম্যান ফরিদুল কবীর তালুকদার শামীম, জয়পুরহাট-১ (জয়পুরহাট সদর ও পাঁচবিবি) আসনে জয়পুরহাট সদর উপজেলা চেয়ারম্যান ফজলুর রহমান, ঝিনাইদহ-২ আসনের হরিনাকুÐু উপজেলা চেয়ারম্যান মো. আব্দুল মজিদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ (আখাউড়া-কসবা) আসনে আখাউড়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মো. মোসলেম উদ্দিন, ঢাকা-১ আসনে নবাবগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান খন্দকার আবু আশফাক, ঢাকা-২০ আসনে ধামরাই উপজেলা চেয়ারম্যান তমিজ উদ্দিন ও রাজশাহী-৬ (বাঘা-চারঘাট) আসনে চারঘাট উপজেলা চেয়ারম্যান মো. আবু সাঈদ চাঁদ ও বগুড়া-৭ আসনে বিএনপির প্রার্থী ও গাবতলী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোরশেদ মিলটন। এছাড়া ঋণ খেলাপের অভিযোগে থাকা চাঁদপুর-৪ আসনে বিএনপি প্রার্থী এমএ হান্নান।
বাকি দুই উপজেলা চেয়ারম্যান হলেন ময়মনসিংহ-৮ (ঈশ্বরগঞ্জ) আসনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মাহমুদ হাসান সুমন। যিনি দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছিলেন। রংপুর-১ (গঙ্গাচড়া) আসনের আওয়ামী লীগ সমর্থিত গঙ্গাচড়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আসাদুজ্জামান বাবলু। তিনিও দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হন।