হয়েছে উন্নতি

100

 

হ্যাঁ, তা সত্যি বটে! বাড়িটির উন্নতি হয়েছে ঢের
শতেক বছর আগে এবাড়ির এক কৃষ্ণচন্দ্র
জন্মগ্রাম ভালোবেসে পাতেন হোমিও সেবাকেন্দ্র
তিন পুরুষ আগের ভাটি ভুলে থিতু হন ফের।
নিকুঞ্জবিহারী দত্ত সন্তান তাঁর স্থাপেন স্কুল
বাঘরটেকি নামে খেলার মাঠ দেন নিজ গ্রামে
জানা যায়নি তাঁর যাতায়াত কোনো মন্দির-ধামে
মনু নদীর ওপারে সেকেন্ডারিতে ফোটান ফুল।
লিখছি এখন উনিশশো আঠারো সনের কথা
দু’পরগণা জুড়ে ছড়িয়ে দেন শিক্ষার বারতা।

দত্তবাড়ি ছিল তাঁরা তালুকদার-গ্রামসর্দার
তাঁতের কাপড় বোনা ব্যবসাও চলতো যখন
পাকিস্তান হতেই পালাল বাড়ির আধেক জন
ভাগ্নে-নাতি বাঁধে ঘর চলে ক্ষেতকৃষি কারবার ।
একাত্তরে পালায় সবাই প্রাণ নিয়ে ত্রিপুরায়
স্বাধীন স্বদেশে অনেকেই ফেরে স্বপ্ন নিয়ে বুকে
মনুর পলিতে পানের বরজে দিন যায় সুখে
বিমল বিন্দু প্রথম সরকারি চাকুরিটা পায়।

পচন আবার শুরু হয় উনিশশো পঁচাত্তরে
বন্যা-খরায় ফসলহানি ঘরে ঘরে টানাটানি
জমিজমা বেচে চলে আভিজাত্য জোটে দানাপানি
গ্রাম্যতা দলাদলি দেখে কেউ পাড়ি দেয় শহরে।
বাড়িতে বিদ্বান বাড়ে জুটে কিছু কেরানি-চাকুরে
পাকা বাড়িঘর বাড়ে বটে জমি-জমা-খাল কমে
জনগণ বাড়ছে বলে কেবল কি মানুষ কমে!
বাড়ির উন্নতি হয়েছে কেমন-সে জানে ঠাকুরে।
বাড়িইতো বাংলাদেশ ‘বিলাসী’ গল্পের নেই শেষ
সেই জ্ঞাতি খুড়ো ভিটোয় দাঁড়িয়ে দেখে নির্নিমেষ।