হ্যারি-মেগানের স্বাধীন ভবিষ্যতের জন্য শুভকামনা রানির

36

ব্রিটিশ রাজপরিবারে হঠাৎ করে সংকট দেখা দিয়েছে। স¤প্রতি রাজ পরিবারের অষ্টম ক্ষমতাধর ব্যক্তি প্রিন্স হ্যারি ও তার স্ত্রী মেগান রাজপরিবারের নিয়ম-কানুন না মানার সিদ্ধান্ত নেন। রাজ পরিবারের বাইরে গিয়ে নিজেদের স্বাধীন ভবিষ্যত গড়তে চান বলে জানান তারা। সোমবার পারিবারিক এক বৈঠকে প্রিন্স হ্যারি ও মেগানের সিন্ধান্তে সম্মতি জানিয়েছেন রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ। তাদের স্বাধীন ভবিষ্যতের জন্য শুভকামনা জানিয়েছেন রানি। রাজ পরিবারের এক বিবৃতিতে জানানো হয়, হ্যারি ও মেগান স্বাধীনভাবে জীবনযাপনের যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তার প্রতি পরিবারের সমর্থন আছে। একইসঙ্গে, হ্যারি দম্পতি বছরে ছয় মাস ব্রিটেন এবং ছয় মাস কানাডায় বসবাস করতে পারবেন।
সোমবার ইংল্যান্ডের নরফক কাউন্টিতে সার্ডিংহাম প্রাসাদে এ আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। রাজপরিবারের কর্মকর্তারা বলেছেন, সার্ডিংহাম প্রাসাদটি রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের ব্যক্তিগত বাড়ি। তার বাবা ষষ্ঠ জর্জ ও দাদা পঞ্চম জর্জ ওই বাড়িতে শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। এই প্রাসাদেই নাতি প্রিন্স হ্যারির মুখোমুখি হন রানি। এ সময় উপস্থিত ছিলেন হ্যারির বাবা ও রানির ছেলে প্রিন্স চার্লস এবং হ্যারির বড় ভাই প্রিন্স উইলিয়াম। এ ছাড়া কানাডা থেকে টেলিফোনে আলোচনায় যোগ দেন হ্যারির স্ত্রী সাবেক অভিনেত্রী মেগান। রাজকীয় দায়িত্ব থেকে সরে যাওয়ার ঘোষণার পর মেগান কানাডায় ছেলে আর্চির কাছে গেছেন।গত সপ্তাহে ডিউক এবং ডাচেস অব সাসেক্স জানান, রাজ পরিবারের সদস্যের ভূমিকা থেকে অব্যাহতি নিয়ে এখন থেকে কাজ করে অর্থ উপার্জন করে স্বাধীনভাবে জীবনযাপন করবেন তারা।
ডিউক অব সাসেক্স প্রিন্স হ্যারি ও তার স্ত্রী ডাচেস অব সাসেক্স মেগান মার্কেলের রাজকীয় দায়িত্ব থেকে সরে যাওয়ার আকস্মিক ঘোষণায় যুক্তরাজ্যজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়। ব্রিটিশ রাজপরিবারের এই সংকট নিরসনে রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ শেষ পর্যন্ত সরাসরি আলোচনার পথই বেছে নেন।