হোম কোয়ারেন্টিন নিয়ে ভুয়া ফোনও পাচ্ছে প্রশাসন

17

বিদেশ ফেরতদের হোম কোয়ারেন্টিন না মানার বিষয়ে চট্টগ্রামের বিভিন্ন উপজেলা প্রশাসনকে বিভ্রান্তিকর তথ্য দেওয়া হচ্ছে, যাতে তদারকির কাজে ব্যঘাত ঘটছে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।
সঙ্কটের এই সময়ে বিদেশ ফেরতদের বিষয়ে একাধিক ব্যক্তি ফোন করে কন্ট্রোল রুমে ভুল তথ্য দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রামের তিনটি উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তারা।
বিশ্বব্যাপি মহামারী আকার ধারণ করা নভেল করোনাভাইরাসের বিস্তার দেশে রুখতে বিদেশ ফেরত সব ব্যক্তিকে ১৪ দিন ঘরে আবদ্ধ থাকার নির্দেশ দিয়েছে সরকার, যা মানা হচ্ছে কি না, তার তদারকিতে রয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।
চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ জোবায়ের আহমেদ বলেন, ‘আজ সকালে কন্ট্রোল রুমে একটি ফোন আসে। তাতে একটি ঠিকানা দিয়ে বলা হয় একজন লোক বিদেশ থেকে ফিরে হোম কোয়ারেন্টিন মানছেন না। এরপর সহকারী কমিশনার (ভূমি) পুলিশ সদস্যদের নিয়ে সেই ঠিকানায় গিয়ে এরকম কাউকে পাইনি। এই রকম একটা পরিস্থিতিতে এ ধরণের ভুল তথ্য দিয়ে আমাদের মিস লিড করা কোনোভাবেই উচিত নয়’।
রাউজান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জোনায়েদ কবীর সোহাগ বলেন, দুই দিন আগে ফোন আসে একটি ইউনিয়নের দু’টি ওয়ার্ডে দুই জন লোক বিদেশে থেকে ফিরে বাইরে বাইরে ঘুরছেন। এলাকার চেয়ারম্যান, স্থানীয় মেম্বার ও পুলিশ সদস্যদের নিয়ে সেখানে যান। কিন্তু সেখানে গিয়ে দেখেছি বিদেশ ফেরত ওই দুইজন ঘরেই আছেন। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, তারা কোয়ারেন্টিন মানছেন। গতকাল আবারো এরকম একটি ফোন পেয়ে ঠিকানায় গিয়ে বিদেশ ফেরতকে ঘরেই পেয়েছি। এ ধরনের তথ্যের কারণে কাজে সমস্যা হচ্ছে।
জোনায়েদ কবীর সোহাগ বলেন, ‘এরকম তথ্য পেয়ে এক জায়গায় গেলে তো আমরা অন্য জায়গায় তো যেতে পারছি না। এতে কাজের সমস্যা হচ্ছে। এটা কষ্টকর’।
হাটহাজারী উপজেলার ইউএনও মো. রুহুল আমীন বলেন, আমাদের উপজেলায় ইউনিয়নভিত্তিক তালিকা করে আমরা সেনাবাহিনীর সদস্য, পুলিশ ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে বাড়ি বাড়ি গিয়ে মনিটর করছি। এরকম একজন ৫ মার্চ দেশে ফিরেছেন বলে আমাদের কাছে তথ্য ছিল। তার বাড়িতে গিয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন একদিন আগে এসেছেন। অথচ তা সত্য নয়।
ইউএনও রুহুল আমীন বলেন, এছাড়া কন্ট্রোল রুমে ফোন এলে আমরা সেই ঠিকানায় খোঁজ নিই। একজন বিদেশ থেকে হোম কোয়ারেন্টিন মানছেন না জেনে তার বাড়িতে গিয়ে পাসপোর্ট যাচাই করে দেখি তিনি বিদেশেই যাননি। এরকম ভুল তথ্য দিলে ঠিকানায় গিয়ে যদি যার বিষয়ে অভিযোগ তার সত্যতা না পাই তাহলে যিনি অভিযোগ দিয়েছেন তার বিরুদ্ধেই সরকারি কাজে বাধাদানের অভিযোগে ব্যবস্থা নেয়া হবে পরবর্তীতে। খবর বিডিনিউজের