নিজস্ব প্রতিবেদক
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান বলেছেন, ‘নিবন্ধন এবং লাইসেন্সবিহীন হোটেল ও রেস্তোরাঁকে ৩০ জুনের মধ্যে লাইসেন্সের আওতায় আসার আহব্বান জানাচ্ছি। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে ২৫তম অর্থনীতির দেশে পৌঁছাতে আবাসিক হোটেল ও রেস্তোরাঁ মালিক সমিতিসহ সবার সার্বিক সহযোগিতা কামনা এবং হোটেল ও রেস্তোরাঁয় পলিথিন ব্যবহার নিষিদ্ধ, মানসম্মত খাবার পরিবেশন করতে হবে। হোটেল ও রেস্তোরাঁয় যাতে রাষ্ট্রবিরোধী কোনো কর্মকান্ড সৃষ্টি না হয় সেদিকে সজাগ থাকার আহŸান জানাচ্ছি।’ গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আবাসিক হোটেল ও রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব নির্দেশনা দেন।
জেলা প্রশাসক বলেন, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়, হোটেল ও রেস্তোরাঁ সেল থেকে ছাড়পত্র, নিবন্ধন এবং লাইসেন্স ছাড়া হোটেল ব্যবসা পরিচালনাকারীকে আইনের আওতায় এনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসন, চট্টগ্রামের রেকর্ডের বাইরেও অসংখ্য আবাসিক হোটেল ও রেস্তোরাঁ ছাড়পত্র, নিবন্ধন এবং লাইসেন্স ছাড়া পরিচালিত হয়ে আসছে। বাংলাদেশ হোটেল রেস্তোরাঁ ২০১৬ বিধি অনুযায়ী জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে লাইসেন্স ইস্যু ও নবায়ন করা হয়ে থাকে। দেখা যাচ্ছে যে, কিছু হোটেল ও রেস্তোরাঁর মালিক অবৈধভাবে ব্যবসা পরিচালনা করছেন ফলে সরকার বিপুল পরিমাণ রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। ছাড়পত্র, নিবন্ধন এবং লাইসেন্সবিহীন কোনো আবাসিক হোটেল ও রেস্তোরাঁ ব্যবসা করলে বিদ্যমান আইন ও বিধি অনুযায়ী ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এছাড়াও হোটেল ও রেস্তোরাঁয় যাতে রাষ্ট্রবিরোধী কোনো কর্মকাÐ সৃষ্টি না হয় সেদিকে সজাগ থাকতে হবে। সব হোটেল ও রেস্তোরাঁকে সিসিটিভি ক্যামেরার আওতায় আনা, কর্মচারীদের ডাটাবেজ তৈরি করা এবং আগামী ১৫ দিনের মধ্যে লাইসেন্সের তথ্য দিতে হবে।
তিনি বলেন, দুই বছর যাবত করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব থাকার কারণে হোটেল ব্যবসা অনেকটা স্তিমিত হয়ে পড়ে। বর্তমানে করোনা শিথিল হওয়ায় আবাসিক হোটেল ও রেস্তোরাঁ পরিচালনা কার্যক্রম গতিশীল করা প্রয়োজন। আবাসিক হোটেল ও রেস্তোরাঁ পরিচালনা কার্যক্রম জোরদার করার লক্ষ্যে আবাসিক হোটেল ও রেস্তোরাঁর মালিকদের আরো সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে হবে।
