হেরেই চলেছে চট্টগ্রাম

9

পূর্বদেশ ক্রীড়া ডেস্ক

টানা দুই হারে পয়েন্ট তালিকায় কিছুটা পিছিয়ে পড়েছিল রংপুর রাইডার্স। অবশেষে তৃতীয় ম্যাচে জয়ের দেখা পেল দলটি। যদিও বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন শুভাগত হোম। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা বিফলে গেল। বরং চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সকে হারিয়ে পয়েন্ট তালিকার তিনে উঠে এলো রংপুর। বিপিএলের ২১তম ম্যাচে আজ প্রথমে ব্যাট করে ৬ উইকেটে ১৮০ রানের লক্ষ্য ছুড়ে দিয়েছিল রংপুর। জবাবে ১২৪ রান তুলতেই অলআউট হয়ে যায় চট্টগ্রাম। ফলে ৫৫ রানের জয় তুলে নেয় রংপুর। অবশ্য চট্টগ্রামের অন্যতম প্রধান ব্যাটিং স্তম্ভ আফিফ হোসেন অস্বস্তিবোধ করায় ব্যাটিংয়ে নামতে পারেননি। লক্ষ্য তাড়ায় নেমে শুরু থেকেই সুবিধা করতে পারেনি চট্টগ্রাম।
দলীয় ১১ রানেই ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলে তারা। এরপর দারউইশ রাসুলি এবং শুভাগত হোম মিলে ইনিংস মেরামতের চেষ্টা করেন। রাসুলি ২১ রান করে বিদায় নিলে ভাঙে এই জুটি। এরপর জিয়াউর রহমানকে নিয়ে ফের লড়াই চালিয়ে যান শুভাগত। কিন্তু এই জুটিও বেশিদূর যেতে পারেনি।
দলীয় ১০৩ রানে জিয়াউর রহমান (২৪) বিদায় নেওয়ার পর ৭ রান যোগ হতেই ড্রেসিংরুমের পথে হাঁটেন ফিফটি তুলে নেওয়া শুভাগত। চট্টগ্রামের অধিনায়ক ৩১ বলের মোকাবিলায় ৪টি করে চার ও ছক্কায় ৫২ রান করে বিদায় নেন। এরপর আর কেউ দুই অঙ্কের দেখাও পাননি। এর আগে মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের বিপক্ষে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে নাঈম শেখের ধীরগতির শুরুর পর রানের চাকা পাল্টে দেন শোয়েব মালিক। তার ফিফটি পেরোনো ইনিংস ও ওমরজাইয়ের ক্যামিওতে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৭৯ রানের বড় সংগ্রহ পায় রংপুর রাইডার্স।
প্রথম ওভারের তৃতীয় বলে শেখ মেহেদিকে হারিয়ে শুরু হয় রংপুরের ইনিংস। বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি পারভেজ হোসেন ইমনও। ৬ রান করে তার ফেরার পর নাঈম শেখকে সঙ্গ দেন শোয়েব মালিক। নবম ওভারে বাজে শট খেলে বিদায় নেন ৩৪ রান করা নাঈম।
নাঈমের বিদায়ের পর ব্যাট করতে নামা ওমরজাইকে নিয়ে এগোতে থাকেন শোয়েব মালিক। ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ২৯ বলে স্পর্শ করেন অর্ধশতক। অপরপ্রান্তে থাকা ওমরজাইও ব্যাট চালাতে থাকেন দ্রæতগতিতে। মালিকের সঙ্গে গড়েন ৫৩ বলে ১০৫ রানের জুটি। এরপর অষ্টদশ ওভারে এসে মেহেদি হাসান রানার শিকার হন তিনি। ২৪ বলে ৪ ছক্কা ও এক চারে ৪২ রান করে বিদায় নেন আফগান এই অলরাউন্ডার। ওমরজাই বিদায় নিলে শেষটা সামলে নেন মালিক। দলকে এনে দেন বড় সংগ্রহ। ৫ ছক্কা ও ৫ চারে ৪৫ বলে ৭৫ রান করে অপরাজিত থাকেন পাকিস্তানি অলরাউন্ডার। এর আগে মোহাম্মদ নওয়াজ ৯ ও শামিম হোসাইন ৭ রান করে উইকেট হারান।
চট্টগ্রামের পক্ষে ৪ ওভারে ৩৯ রান খরচায় সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন মেহেদি হাসান রানা। জোড়া উইকেট পান শুভাগত হোম। একটি উইকেট নেন বিজয়কান্ত।