হুইপের নির্দেশে নতুন তদন্ত কমিটি

11

পটিয়া পিটিআই পরিদর্শনকালে হুইপ সামশুল হক চৌধুরী বলেছেন, কোনো চক্র উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে পরিস্থিতি ঘোলাটের ষড়যন্ত্র করছে কি-না তদন্ত করতে হবে। সে সাথে এক প্রশিক্ষক সমস্যার কথা কাউকে অবহিত না করে কেনই বা আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন এবং এর মাধ্যমে খারাপ পরিস্থিতি সৃষ্টির উদ্দেশ্য ছিলো কিনা তাও খতিয়ে দেখার জন্য তিনি নির্দেশ দিয়েছেন। এ জন্য তিনি পটিয়া উপজেলার চেয়ারম্যান মোতাহেরুল ইসলামকে প্রধান করে ৩ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন ও কয়েক দফা নির্দেশনা দেন। এর মধ্যে কোন শিক্ষার্থী সত্যিকারভাবে যৌন হয়রানির শিকার হয়েছিলেন কি-না, একই প্রতিষ্ঠানে দীর্ঘদিন ধরে কারা দায়িত্ব পালন করছেন এবং কি কি সমস্যা বিরাজ করছে তা খতিয়ে দেখার জন্য বলা হয়। ওই সময় তিনি পিটিআই ট্রেনিং ইনস্টিটিউটে কর্মরতদের পরিবর্তনের জন্য প্রাথমিক শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে ফোনে সুপারিশ করেন। এছাড়া তিনি গতকাল বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টায় সেখানে বিভিন্ন প্রশিক্ষক ও প্রশিক্ষণার্থীদের সাথে ঘটনার বিষয়ে বিভিন্ন কথা বলেন। তদন্ত কমিটিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারহানা জাহান উপমা এবং পটিয়া থানার ওসি বোরহান উদ্দিনকে সদস্য করা হয়।
হুইপের পরিদর্শনকালে উপস্থিত ছিলেন- উপজেলা চেয়ারম্যান মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী, পটিয়া পৌরসভার মেয়র হারুনুর রশিদ, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারহানা জাহান উপমা, সহকারী কমিশনার (ভূমি) ইনামুল হাসান, পটিয়া থানার ওসি বোরহান উদ্দিন, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবু আহমেদ, উপজেলা আ.লীগ নেতা আলমগীর খালেদ, পৌর কাউন্সিলর গোফরান রানা, কামাল উদ্দিন বেলাল, আবু ছৈয়দ, রূপক সেন, পৌরসভা আ.লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাজিম উদ্দিন পারভেজ, পিটিআইয়ের (ভারপ্রাপ্ত) সুপারিটেনডেন্ট তপন কুমার দাশ, প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রধান শিক্ষক স্বপন কুমার চৌধুরী।
গত ৬ মার্চ রাতে পটিয়া পিটিআইয়ে চার প্রশিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন কেলেঙ্কারির অভিযোগ তুলে ও তার প্রতিবাদ জানিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে চট্টগ্রামে নিজের বাসায় ঘুমের ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা চালান পিটিআইয়ের প্রশিক্ষক (্আইটি) দেবব্রত বড়ুয়া দেবু। ৫০ জন শিক্ষার্থী যৌন হয়রানির শিকারের অভিযোগ তুললেও শিক্ষক হয়ে তিনি কেন আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন তা এখনো রহস্যাবৃত।