হাসপাতাল নির্মাণের উদ্যোগ প্রকৃতি ধ্বংসের পাঁয়তারা

20

 

ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ চট্টগ্রাম মহানগর সভাপতি এইচ এম মুজিবুল হক শুক্কুর সংবাদপত্রে প্রদত্ত এক বিবৃতিতে বলেন হাজার বছরের ঐতিহ্যের ধারক প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যরে লীলাভূমি চট্টগ্রাম। যেথায় অনায়াসে আগন্তুকের হৃদয়কে আকর্ষণ করে। অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় ক্রমাগতভাবে এ চট্টলার নান্দনিকতা অবলুপ্তির দিকে। নানানভাবে নানা ইস্যুতে জৌলুসহানি ঘটে চলেছে এ চট্টলার। যা শুধু দূঃখজনক নয় বরং গ্লানিকরও বটে। দেশের অপরাপর জেলার ন্যায় চট্টগ্রামে এমনিতেই পর্যাপ্ত বিনোদন সুবিধা নেই বললেই চলে। তথাপিও যে কয়েকটি বিনোদন স্পট বিদ্যমান ছিল ইতোমধ্যে এসবও সাবাড় করে দিয়েছে। যেমন ডিসি হিল, লালদিঘী, আউটার স্টেডিয়াম, আগ্রাবাদ জাম্বুরী ময়দান, পাঁচলাইশ জাতি সংঘ পার্ক ইত্যাদি। উপরন্তু এখন হাসপাতাল নির্মানের নামে বিনোদনের জন্য একমাত্র সবেধন নীলমনি, চট্টগ্রামবাসীর ফুসফুস নামে খ্যাত রলওয়ে সিআরবিকে ধ্বংসের পাঁয়তারা করছে সরকারের ভেতর ঘাপটি মেরে থাকা চট্টগ্রাম বিদ্বেষী একটি দুষ্টচক্র। অথচ সিআরবিতে একটি হাসপাতাল বিদ্যমান রয়েছে। যেটিকে সিটি কর্পোরেশনের নিকট হস্তান্তর করে এবং এটিকে ভেঙ্গে ৫০০ শয্যা বিশিষ্ট পাবলিক হাসপাতালে রূপান্তর করা হলে কোন সমস্যা হবে বলে মনে হয় না। ফলশ্রুতিতে সিআরবিস্থ বিনোদন স্পটটি সুরক্ষিত থাকবে। তাছাড়াও চট্টগ্রামে একাধিক আধুনিক সকল সুবিধা সম্পন্ন হাসপাতালের প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য তাই ইউনাইটেড গ্রুপের প্রস্তাবিত এই হাসপাতাল বায়েজিদ এক্সেস রোড অথবা আউটার রিং রোড়ের আশে পাশে যেকোন জায়গায় করা যেতে পারে। তাই সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের নিকট সিআরবির ঐতিহ্য সংরক্ষণ করে নগরীর অন্য যে কোন স্থানে হাসপাতাল নির্মাণের জন্য বিবৃতিতে অনুরোধ জানানো হয় এবং চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আদলে চট্টগ্রাম মহানগরের পতেঙ্গা, বন্দর টিলা এলাকায় ১টি চট্টগ্রাম উত্তর জেলার হাটহাজারী বড় দীঘির পাড় এলাকায় ১টি ও চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার মইজ্জার টেক সিডিএ-এর দখলকৃত পরিত্যাক্ত ভুমিতে ১টি করে ৫০০ শয্যার আরো ৩টি পাবলিক হাসপাতাল ও কলেজ করার চট্টগ্রামবাসীর দীর্ঘ দিনের মেনে নেয়ার আহবান জানিয়ে সিআরবি ব্যাতিত অন্যকোন স্হানে হাসপাতাল নির্মাণের দাবি জানান অন্যতাই চট্টগ্রামবাসী যে কোন মূল্যে এই ষড়যন্ত্র রুখে দাঁড়াবে। বিজ্ঞপ্তি