হাশিমপুরে আখের ভালো দাম পেয়ে খুশি চাষীরা

63

চন্দনাইশের বিভিন্ন এলাকায় ব্যাপকভাবে আখের চাষ করা হয়েছে। ফলন হয়েছে বেশ ভালো, দামও প্রচুর। ফলে আখ চাষীরা বেজায় খুশি। জানা যায়, আখের রস মানবদেহের শরীরে বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধে সহায়ক হিসেবে কাজ করে থাকে। তাছাড়া রক্ত কণিকা স্বচ্ছ করে। তাই মানুষ আখের রস মিষ্টি পানীয় ও শরীরে উপকার হিসেবে পান করে থাকে। চন্দনাইশে উৎপাদিত আখ চট্টগ্রামের চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন এলাকায় সরবরাহ করা হয়। উপজেলার শঙ্খ নদীর তীরবর্তী এলাকায় ব্যাপকহারে আখের চাষ হয়। চন্দনাইশ উপজেলার শঙ্খ নদীর তীরবর্তী বৈলতলী, জাফরাবাদ, চাগাচর, সাতবাড়িয়া, হাছনদন্ডী, বরমা, চর বরমা, লালুটিয়া ও পাহাড়ি এলাকা দোহাজারী, হাশিমপুর, কাঞ্চননগর বিভিন্ন এলাকায় আখের চাষ হয়ে থাকে। বিশেষ করে শঙ্খ নদীর পাড় ঘেঁষে বিশাল এলাকায় আখের চাষ ভালো হয়। চলতি মৌসুমে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এসব এলাকায় প্রচুর আখের চাষ হয়েছে। ফলনও ভালো হয়েছে বলে জানালেন কৃষকেরা। দাম ভালো থাকায় কৃষকের মুখে হাসির আভা। আখ চাষীরা জানান, মাত্র ছয়মাস আগে এক কানি জমিতে ৪০ হাজার টাকা খরচে আখ চাষ করেছে। এখন খরচ বাদ দিয়ে তার দিগুন টাকায় চাচ্ছে ক্রেতারা। হাছনদন্ডীর কৃষক আবুল কালাম জানান, ৩০ হাজার টাকা খরচ করে সে যে আখ চাষ করেছে, তা এখন ৯০ হাজার টাকায় চাচ্ছে। চর বরমা এলাকার ৭০ হাজার টাকা খরচ করে আখ চাষ করেছে, তা এখন ১ লক্ষ ৩০ হাজার টাকায় বিক্রি করেছে। তাই তারা এখন বেশ খুশি। তাদের মতে আখ চাষে সময় খুব বেশি লাগেনা। এছাড়া তেমন কোন সারেরও প্রয়োজন হয় না। আগাছা পরিস্কার করে বিভিন্ন প্রজাতির পোকা থেকে বাঁচিয়ে রাখতে হয় আখকে। রাত্রী বেলায় পাহারা বসাতে হয়। আখ চাষী জমির জানান, চন্দনাইশের আখের চাহিদা সারা দেশে। কারন এ এলাকার মাটি আখ চাষের জন্য খুবই উপযোগী। তাছাড়া এ এলাকার আখের রস খুবই সুস্বাধু। আখ থেকে গুড় তৈরি করা যায় বলে আখের চাহিদা রয়েছে প্রচুর। সাধারণ মানুষ জন্ডিস রোগের পথ্য হিসেবে আখের রস পান করে থাকে। তারা আরো জানান, কোন রকম প্রশিক্ষণ ও সাহায্য সহযোগিতা ছাড়াই তাদের পূর্ব পুরুষের ন্যায় আখ চাষ চালিয়ে যাচ্ছেন। এ ব্যাপারে সরকারিভাবে প্রশিক্ষণ ও কম সুদে ঋণ পেলে আখ চাষে আরও এগিয়ে আসবে চাষীরা। তারা যথাযথ কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন। এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা স্মৃতি রাণী সরকার জানান, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ফলন ভালো হয়েছে, দামও ভালো পাওয়া যাচ্ছে। তাই কৃষকেরা খুবই খুশি। চলতি মৌসুমে আখ চাষের জন্য ১শ ৮৫ হেক্টর জমিতে আখ চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারিত থাকলেও তা অতিক্রম করে ১৯০ হেক্টর জমিতে আখ চাষ হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।