হালিশহরে মিল্টনের ছত্রছায়ায় বেপরোয়া বক্কর-সোহেল গ্রুপ

15

গত বুধবার মধ্যরাতে হালিশহর এ ব্লবকে স্থানীয় ‘যুবলীগ নেতা’ নুরুদ্দীন মিল্টনের দুই গ্রুপে (বক্কর গ্রুপ ও সোহেল গ্রুপ) সংঘর্ষ হয়। এতে গুরুতর আহত হন সোহেল গ্রুপের সোহেল। চাঁদার টাকার ভাগ কম পড়ায় গ্যাং নিয়ে সোহেলের উপর চড়াও হন বক্কর। আহত সোহেল দুইটি হত্যা মামলার আসামি এবং বক্কর একাধিক ছিনতাই ও চাঁদাবাজি মামলার আসামি বলে জানা গেছে। জুয়ার আসর, মাদক বিক্রি, নির্মাণাধীন ভবনে চাঁদাবাজি এমন কোন অনৈতিক কাজ নেই যেখানে মিল্টন গ্রুপের অস্তিত্ব নেই। আবার নিজের অপরাধের জাল বিস্তৃত করতে খুলেছেন কয়েকটি উপগ্রুপ। সেই উপ-গ্রুপগুলোর মধ্যে বক্কর ও সোহেলের গ্রুপ দুটিই বেশি সক্রিয়। চাঁদার টাকার ভাগভাটোয়ারাকে কেন্দ্র করে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে মিল্টনের গড়া গ্রুপ দুটি।
দুই গ্রুপের সংঘর্ষের কথা স্বীকার করে হালিশহর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘গতকালের (বুধবার) সংঘর্ষের ঘটনায় এখনো কোন পক্ষ মামলা করেনি। ওদের নামে আগেও একাধিক মামলা আছে থানায়। কেউ মামলা করলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।’ বয়সে কিশোর হলেও অপরাধ জগতে দারুন পরিপক্ক এই দুজন। মিল্টনের ছত্রছায়ায় অপরাধ জগতে নিজেদের কিংবদন্তির জায়গায় নিয়ে গেছে সোহেল ও বক্কর। বক্কর-সোহেলের গুরু মিল্টনের নামে রয়েছে অসংখ্য অভিযোগ। কিছুদিন আগেও এক ইতালি প্রবাসীকে ব্ল্যাকমেইল করে হাতিয়ে নেন বিশাল অংকের টাকা। টাকা হাতিয়ে নেওয়ার বিষয়ে হালিশহর থানায় মিল্টন ও এর সহযোগিদের নামে মামলাও করেন ভুক্তভূগী প্রবাসী। মিল্টন গ্রুপের বিরুদ্ধে কথা বলার সাহস পান না হালিশহরের বাসিন্দারা। চট্টগ্রামের আলোচিত আবাহনী ক্লাবের জুয়ার আসরটিও পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন মিল্টন।