হালদায় উৎসবের অপেক্ষায় শত শত ডিম সংগ্রহকারী

47

হালদায় নমুনা ডিম ছাড়ার পর গেল পূর্ণিমায় মা মাছ ডিম না ছাড়ায় হতাশায় হালদার ডিম সংগ্রহকারীরা, তবে তাদের আশা এ সপ্তাহের যে কোনো সময় ভারী বৃষ্টি ও বজ্রপাত হলেই পুরোদমে ডিম ছাড়তে পারে- এ আশায় তাকিয়ে আছেন শত শত ডিম সংগ্রহকারী। ডিম সংগ্রহকারীরা ধারণা করছেন- যে কোনো সময় মা মাছ ডিম ছাড়তে পারে। এজন্য রাউজান ও হাটহাজারী উপজেলা মৎস্য অধিদপ্তর সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে।
রাউজান উপজেলা মৎস্য অধিদপ্তরের কার্যালয় স‚ত্রে জানা গেছে, ডিম সংগ্রহের জন্য ৭২টি নৌকা, ৭২টি জাল, ১৭৭ জন ডিম সংগ্রহকারী ও ৬৮টি কুয়া প্রস্তুত রাখা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে সরেজমিনে দেখা গেছে, ডিম সংগ্রহের জন্য নদীর পাড়ে নৌকা ও ডিম আহরণের সরঞ্জাম নিয়ে শত শত ডিম আহরণকারী অপেক্ষার প্রহর গুণছেন। ডিম ছাড়লেই যেন শুরু হবে উৎসব। এই ধরনের প্রস্তুতি দেখা গেছে হালদা পাড়ের মৎস্যজীবীদের মধ্যেও। নদীর রাউজান অংশের পশ্চিম গুজরা ইউনিয়নের আজিমের ঘাট এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, নদীর পাড়ে নৌকা নিয়ে অপেক্ষায় আছেন পোনা আহরণকারীরা।
স্থানীয় পোনা আহরণকারী ও মৎস্য অধিদপ্তর স‚ত্র জানায়, সাধারণত অমাবস্যা-প‚র্ণিমায় লাগাতার বজ্রসহ বৃষ্টি, শীতল আবহাওয়া ও পাহাড়ি ঢলে কার্প জাতীয় মা মাছ হালদা নদীতে ডিম ছাড়ে। নদীর দ‚ষণ কমে আসায় এবং আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এ মৌসুমে অন্যান্য বছরের তুলনায় বেশী পরিমাণ ডিম সংগ্রহে আশাবাদী সকলে। তবে ডিম ছাড়ার ভরা মৌসুমে নদীতে যান্ত্রিক নৌযানের অবাধ চলাচল থাকায় তা
মা মাছের জন্য হুমকি মনে করছেন পরিবেশবাদীরা।
উপজেলার উরকিরচর ইউনিয়নের ডিম সংগ্রহকারী মো. নাছির বলেন, নমুনা ডিম যেহেতু ছেড়েছে তাহলে মা মাছ ডিম ছাড়তে পারে যে কোনো সময়। এজন্য আমরা অপেক্ষায় আছি।
রাউজান উপজেলা জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা পিযুষ প্রভাকর বলেন, গত সপ্তাহে রাতে নদীতে নমুনা ডিম ছেড়েছে মা মাছ। তবে তা খুব কম। যেহেতু নমুনা ডিম ছেড়েছে সেহেতু খুব শিগগির মাছ পুরোদমে ডিম ছাড়তে পারে। এজন্য সকল প্রস্তুতি শেষ করেছে মৎস্য অধিদপ্তর।