হালদার বুকে বিশাল চর

69

ফটিকছড়ি উপজেলার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া হালদা নদীর বুকে বিশাল চর জেগেছে। একপাশে সৃষ্ট চরের বিপরীত পাশে ভাঙছে নদীর পাড়। নাজিরহাট পৌরসভার বুক চিরে প্রবাহিত এই নদী বর্ষায় ভয়াবহ আকার ধারণ করে। নদীর এক পাড়ে চর জেগে উঠলে অন্য পাড় ভাঙে।
নাজিরহাট বাজারের পশ্চিম পাশে জেগেছে এই চর। নাজিরহাট, রশিদা পুকুর পাড়, কুম্বার পাড়া, পূর্ব-সুয়াবিল, নাজিরহাট কলেজসহ ৮-১০ গ্রামের মানুষের দুর্ভোগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে এই নদী। ১৬ কিলোমিটার দীর্ঘ নাজিরহাট-কাজিরহাট সড়কের নাজিরহাট কলেজ সংলগ্ন অংশ ভাঙনের ফলে বিলীন হওয়ার পথে।
নাজিরহাট পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর মো. ইউসুফ জানান, ‘হালদার বুকে এই চর দুর্ভোগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডকে ভাঙনরোধে ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানানো হলেও তারা কোন পদক্ষেপ নেয়নি।’
নাজিরহাট পৌরসভার কাউন্সিলর মোহাম্মদ আলী জানান, ‘বর্ষায় পাহাড়ী ঢল নদীর পূর্ব-পশ্চিম দুই পাড়ে আঘাত করায় ভাঙনের সৃষ্টি হয়। নাজিরহাট কলেজের সামনে নাজিরহাট-কাজীরহাট রাস্তাটি এ কারণে বার বার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।’
হালদা বিশেষজ্ঞ ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণীবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. মনজুরুল কিবরিয়া বলেন, ‘এ রকম অপ্রত্যাশিত চর মানুষের দুর্ভোগের কারণ হয়। স্থানীয় লোকজনকে বাড়ি-ঘর ভরাট করার জন্য মাটি সংগ্রহ করতে অনুমতি দিয়ে দিলেই হয়। পানি উন্নয়ন বোর্ড ভাঙনরোধে উদ্যোগ নিতে পারে।’ পানি উন্নয়ন বোর্ডের সেকশন অফিসার (এসও) মো. খুরশিদ আলম বলেন, ‘হালদার চরটি অপসারণ করতে ১৫ লক্ষ টাকা বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা পাউবো’র নির্বাহী প্রকৌশলীর সাথে কথা বলে উদ্যোগ নিলে ভালো হয়।’
নাজিরহাট পৌরসভার মেয়র এস এম সিরজুদ্দৌলাহ বলেন, ‘এ ব্যাপারে পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলীর সাথে আলাপ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।’­