হালদার পানির গুণগত মান স্বাভাবিক

27

নিজস্ব প্রতিবেদক

দেশের বিখ্যাত মিঠা পানির প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন কেন্দ্র হালদার পানির গুণগত মান স্বাভাবিক পর্যায়ে রয়েছে বলে জানিয়েছেন হালদা গবেষক ড. সফিকুল ইসলাম। পাঁচটি পয়েন্ট থেকে পানির নমুনা সংগ্রহ ও নিজস্ব ল্যাবে পরীক্ষা করে পূর্বদেশকে এমন তথ্য জানান তিনি।
১১টি ভৌত ও রাসায়নিক প্যারামিটার ব্যবহার করে নমুনা পরীক্ষা করা হয়। ড. সফিকুল জানান, পানিতে অক্সিজেনের পরিমাণ, কার্বন ডাই অক্সাইড, ক্যালেসিয়ামের পরিমাণ, টোটাল হার্ডনেস, টোটাল এ্যালকানিটি, পানির তাপমাত্রা, ট্রান্সফারেন্সি, পিএইচ, ইলেকট্রিক্যাল কনডাক্টিভিটি, টিডিএস ও লবণাক্ততার মান স্বাভাবিক মাত্রায় ছিল। তবে হালদা আর কর্ণফুলীর সংযোগ পয়েন্টের কাছাকাছি মদুনাঘাট অংশে পানিতে অক্সিজেনের পরিমাণ সামান্য কম থাকলেও তা আশঙ্কাজনক নয় বলে মন্তব্য করেছেন হালদা গবেষক ড. সফিকুল। যদি অক্সিজেনের পরিমাণ ২ মিলিগ্রাম/লিটার এর নিচে চলে যায় তাহলে মাছ মারা যাবে বলে মন্তব্য যোগ করেন ।
সর্বশেষ ২৪ সেপ্টেম্বর রাশিয়ান একোয়াটিক বায়োরিসোর্স এন্ড এনভায়রনমেন্ট জার্নালে হালদায় ফাইটো প্লাংকটন নিয়ে একটি একক গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয়। এ বিষয়ে তিনি জানান, একটি জলজ বাস্তুসংস্থানের জন্য ফাইটো প্লাংকটন (উদ্ভিদকণা) মুখ্য উৎপাদক। হালদায় এমন ৭৪ প্রজাতির ফাইটো প্লাংকটন রয়েছে। একইসাথে জু-প্লাংকটন (প্রাণিকণা) রয়েছে ৭১ প্রজাতির। জু-প্লাংকটন ফাইটো প্লাংকটনকে খাবার হিসেবে গ্রহণ করে। এভাবে ছোট মাছকে বড় মাছ খাবার হিসেবে গ্রহণ করে। এভাবেই জলজ বাস্তুসংস্থান পরিচালিত হয়। আবার এসব প্লাংকটনের উপস্থিতির মাধ্যমে বায়োলজিক্যালি পানি দূষণ পরিমাপ করা হয়।
হালদার বিভিন্ন পানির গুণগত মান নিয়ে ড. সফিকুল জানান, শনিবার দিনভর হালদাতেই ছিলাম। নাজিরহাট, পেশকারহাট, সাত্তারঘাট, রামদাশহাট, মদুনাঘাট পয়েন্ট থেকে নমুনা নিয়ে পরীক্ষা করেছি। পাঁচটি পয়েন্টেই লবণাক্ততা নেই বললেই চলে। বাকি প্যারামিটারগুলোতেও পানির গুণগত মান স্বাভাবিক ছিল। মাছ ধরা নিষিদ্ধ থাকলেও বিভিন্ন অংশে জেলেরা অবৈধভাবে মাছ ধরছে। বিষয়টি উদ্বেগজনক বলে মন্তব্য করেন তিনি।