হারুয়ালছড়িতে জিকরে শাহানশাহ ও মাইজভান্ডারী দর্শনের আলোচনা সভা ও মিলাদ

7

জিকরে শাহানশাহ ও মাইজভান্ডারি দর্শন শীর্ষক আলোচনা সভা ও মিলাদ মাহফিলে বক্তারা বলেছেন, ধর্মের নামে সমাজে যখন অরাজকতা, খুনোখুনি সৃষ্টি হয়, তখন বাংলার জমিনে আবির্ভাব হয় বেলায়তে মোতলাকায়ে আহমদীর প্রবর্তক গাউসুল আজম শাহসূফি সৈয়দ আহমদ উল্লাহ মাইজভান্ডারি (ক.)। তার প্রবর্তিত দর্শন অতি অল্প সময়ে দিশেহারা মানুষকে আল্লাহর দিকে ধাবিত করেছে।
৮ মার্চ ফটিকছড়ির হারুয়ালছড়িতে “শোকর-এ মওলা মঞ্জিল” এর দশম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন মাইজভান্ডারী গবেষক মাইজভান্ডারী গাউসিয়া হক কমিটির সদস্য মোহাম্মদ শাহেদ আলী চৌধুরী মাইজভান্ডারী ।
সভাপতির বক্তব্যে মোহাম্মদ শাহেদ আলী চৌধুরী মাইজভান্ডারী বলেন, আল্লাহর অলীরা ঈমানের প্রতীক। মাইজভান্ডারি ত্বরিকা খিজিরিয়া ত্বরিকা। তিনি বলেন, ধর্মকে এখন ঢাল হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে। ধর্মের নামে যারা মানুষ হত্যা করে তাদের ‘ইসলাম’ রাসূল (সা.) এর ইসলাম নয়। তাদের ইসলাম গাউসুল আজম মাইজভান্ডারীর ইসলাম নয়। ইসলামে সন্ত্রাসবাদ নেই।
প্রধান আলোচকের বক্তব্যে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবী বিভাগের অধ্যাপক ড. মাওলানা জাফর উল্লাহ বলেন, আগে মানুষ তারপরে ধর্ম। আল্লাহর অলীদের আছে তিনটি গুণ। প্রথমত- তারা মাটির মতো নরম, দ্বিতীয়ত- তাদের অন্তর সমুদ্রের মতো বিশাল, তৃতীয়ত- সূর্যের মতো উদার। যার কাছে ফকির, বাদশা সমান তিনিই অলী হতে পারেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন এসএম নেওয়াজ শাহরিয়ার আসিফ। স্বাগত বক্তব্য দেন সজীবুল হাসান চৌধুরী ও মাইজভান্ডারী দর্শন ভিত্তিক ছাত্র সংগঠন জ্যোতি ফোরামের সভাপতি জয়নাল আবেদিন তাওরাত এবং সংগঠনটির উপদেষ্টা মেডিক্যাল সেন্টার হাসপাতাল, চট্টগ্রামের মেডিক্যাল অফিসার ডা. পঞ্চানন দাশ গুপ্ত। সভায় আলোচক হিসেবে বক্তব্য দেন মাদ্রাসা- এ- গাউসুল আজম মাইজভান্ডারি আরবি বিভাগের প্রভাষক মাওলানা মুজিবুল হক, জাতীয় মানবাধিকার সোসাইটির চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম তামিজী। আরও বক্তব্য দেন জাগ্রত ব্যবসায়ী ও জনতা, বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান এবং বাংলাদেশ ইলেক্ট্রিক্যাল এসোসিয়েশনের পরিচালক শিহাব রিফাত আলম। আলোচনা সভা শেষে মিলাদ পরিচালনা করেন মাহফিলের আহবায়ক সৈয়দ শফিউল আজিম সুমন। মাইজভান্ডারী সেমা ও কাউয়ালী পরিবেশন করেন মাইজভান্ডারী কাওয়াল আব্দুল হান্নান হোসাইনী ও আবু আহমদ। এর আগে জ্যোতি ফোরামের উদ্যোগে বিপুল সংখ্যক কৃতি শিক্ষার্থী সংবর্ধনা, দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের মধ্যে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়। বিজ্ঞপ্তি