হারবাং ও কাহারিয়াঘোনায় বসতঘরে আগুন ও ভাঙ্গচুর

45

কক্সবাজারের চকরিয়ায় পূর্ব শত্রুতার জেরে ব্যক্তি মালিকানাধীন বসতবাড়ি পুড়িয়ে দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে বাড়ির সকল আসবাবপত্রসহ মূল্যবান সরঞ্জাম পুড়ে ছাই হয়ে যায়। গত ৬ মার্চ ভোররাত চারটার দিকে উপজেলার হারবাং ইউনিয়ানের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের আলীপুরপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী বাড়ির মালিক মোহাম্মদ মাশুকের স্ত্রী জন্নাতুল ফেরদৌস বাদি হয়ে একই ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাইঘ্যারপাড়া এলাকার ছৈয়দ আহামদের ছেলে মো. ইউনুছকে প্রধান আসামি করে ৬জনের নাম উল্লেখ করে গতকাল শনিবার দুপুরে চকরিয়া থানায় একটি এজাহার দায়ের করেছেন। এজাহারে আরো ১৫-২০জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।
মামলার বাদি আরও দাবি করেন, প্রতিপক্ষের লোকজন আমদের বাড়িতে আগুন দেয়ার পর আগুনের লেলিহান শিখা চারিদিকে ছড়িয়ে পড়লে পার্শ্ববর্তী লোকজন আগুন নেভাতে এগিয়ে আসে। এসময় সকল বিবাদিরা ৩-৪ রাউন্ড ফাঁকাগুলি বর্ষণ করে আতঙ্ক তৈরির পর ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচারের আশায় থানায় অভিযোগ দেওয়া হয় বলেও জানান তিনি।
এ ব্যাপারে চকরিয়া থানার ডিউটি অফিসার এসআই হিরু বড়–য়া বলেন, হারবাং ইউনিয়নে অগ্নিকাণ্ডে বাড়ি পুড়ে দেয়া সংক্রান্ত কোন অভিযোগ এখনো হাতে আসেনি। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
এদিকে কক্সবাজার চকরিয়ায় জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে নুরুল আবছার নামে এক ব্যক্তির বাড়িতে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙ্গচুর ও লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে দুর্বৃত্তদের বিরুদ্ধে। এসময় দুর্বৃত্তরা বাড়ির মালিক নুরুল আবছারে স্ত্রী তছলিমা বেগমকে (৩০) কুপিয়ে আহত করে। গত শুক্রবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে চকরিয়া পৌরসভা ৫ নম্বর ওয়ার্ডের উওর কাহারিয়াঘোনা ঘাটপাড়া এলাকায় এ ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় বাড়ির মালিক নুরুল আবছারের স্ত্রী তছলিমা বেগম বাদি হয়ে একই এলাকার মৃত মৌলভী সিরাজুল হকের ছেলে মো. দস্তগীরকে প্রধান আসামি করে চার জনের নাম উল্লেখ পূর্বক চকরিয়া থানায় একটি এজাহার দায়ের করেছেন।
থানায় দায়ের করা মামলার এজাহারে মামলার বাদি তছলিমা বেগম দাবি করেন, কাহারিয়াঘোনা মৌজার আরএস ৩৭১ বিএস ৬১৪/৬১৬ খতিয়ানের বিএস ১২৭৬/১২৭১ দাগাদির আন্দর আমার খরিদা ভোগ দখলীয় বসতভিটার জায়গা জমি নিয়ে ঝামেলা আসছিল এজাহারে উল্লেখ করা আসামিরা। উক্ত বিষয়ে আমার স্বামী বাদী হয়ে বিজ্ঞ সহকারী জজ চকরিয়া আদালতে একটি মামলা (নং-৪৯/২০১১) দায়ের করেন। মামলা এখনো চলমান রয়েছে। এমতাবস্থায় শুক্রবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে একই এলাকার মো. দস্তগীরের (৪৫) নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী পূর্ব পরিকল্পিতভাবে লাঠি, লোহার রড, হাতুড়ি ও দা নিয়ে বসত ঘরে হামলা চালায়। এ সময় সন্ত্রাসীরা বাড়ির আসবাবপত্র ও কাঁচের জানালা ভাঙ্গচুর করে। সন্ত্রাসী হামলার সময় নুরুল আবছারের স্ত্রী তছলিলা বেগম বাধা দিলে তাকেও কুপিয়ে এবং পিটিয়ে আহত করার পর শ্বাসরোধ করে হত্যার চেষ্টা চালায় সন্ত্রাসীরা। বর্তমানি তিনি কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বলে জানান তছলিমার স্বামী নুরুল আবছার।
এ ব্যাপারে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই চম্পক বড়ুুয়া বলেন, ঘটনার ব্যাপারে একটি অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি নিয়ে সরেজমিন তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।