হামলা প্রমাণ করে আ. লীগ গণতন্ত্রে বিশ্বাসী নয়

46

বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির চট্টগ্রাম বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ভিপি হারুনুর রশিদ বলেছেন, আওয়ামী লীগ কখনই জনগণকে বিশ্বাস করে না। সেজন্য ১৯৭৫ সালে একদলীয় শাসন বাকশাল কায়েম করেছিল। তারই ধারাবাহিকতায় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ দেশের সব সাংগঠনিক কাঠামো ভেঙে নিজেদের দলীয় কব্জায় নিয়েছে। চট্টগ্রাম-৮ আসনে ধানের শীষের জোয়ার দেখে পরাজয় নিশ্চিত জেনে পেশীশক্তি দেখানোর জন্য নগর যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হোসাইনের উপর ন্যক্কারজনক হামলা করেছে। এই হামলা প্রমাণ করে আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রে বিশ্বাসী নয়। জনগণের উপর আস্থা নেই। তিনি গতকাল বুধবার পুরাতন চান্দগাঁও থানার সামনে নগর যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হোসাইনের উপর হামলার প্রতিবাদ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
বিশের অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রাম-৮ আসনে ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী, দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক ও নগর বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি আবু সুফিয়ান বলেন, চান্দগাঁও’র মাটির সাথে স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আত্মার সম্পর্ক। কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকেই স্বাধীনতার অমর বাণী ঘোষণা করেছিলেন। সেই চান্দগাঁও’র সন্তান নগর নগর যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হোসাইনের উপর রাতের আঁধারে আওয়ামী, ছাত্রলীগ, যুবলীগ স্বশস্ত্র হামলা করেছে। আগামী ১৩ জানুয়ারি উপনির্বাচনে চান্দগাঁও’র মানুষের ভোট পাবে না বিধায় পেশিশক্তি প্রদর্শনে ব্যস্ত আওয়ামী লীগ। মামলা হামলা মাথায় নিয়েই মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে বিএনপি তথা জাতীয়তাবাদী শক্তি। তিনি অবিলম্বে হামলাকারীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। প্রতিবাদ সভা শেষে বিক্ষোভ মিছিল পুরাতন চান্দগাঁও থানার সামনে থেকে শুরু হয়ে বহদ্দারহাট মোড়ে এসে শেষ হয়।
চট্টগ্রাম মহনগর যুবদলের সভাপতি মোশাররফ হোসেন দীপ্তির সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ শাহেদের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন মহানগর বিএনপির সহসভাপতি সবুক্তগীন সিদ্দিকী মক্কি, মোহাম্মদ আলী, যুগ্ম সম্পাদক ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, আনোয়ার হোসেন লিপু, দক্ষিণ জেলা সদস্য মফজল আহমদ চৌধুরী। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন নগর যুবদলের সহ সভাপতি নুর আহমদ গুড্ডু, এস এম শাহ আলম রব, এম এ রাজ্জাক, ফজলুল হক সুমন, আবদুল করিম, ম. হামিদ, মো. মুসা, নাসির উদ্দিন চৌধুরী নাছিম, জসিমুল ইসলাম কিশোর, পাঁচলাইশ থানা যুবদলের আহবায়ক মোহাম্মদ আলী সাকী, নগর যুবদলের যুগ্ম সম্পাদক তৌহিদুল ইসলাম রাসেল, সাংগঠনিক সম্পাদক এমদাদুল হক বাদশা, যুগ্ম সম্পাদক ওমর ফারুক, হেলাল হোসেন, গুলজার হোসেন, সহ সাধারণ সম্পাদক জমির উদ্দিন আহমদ মানিক, জাফর আহমদ খোকন, সম্পাদকমÐলীর সদস্য মোহাম্মদ সাগীর, মহিউদ্দিন মুকুল, নুরুল আমিন, সহ সম্পাদক কমল জ্যোতি বড়–য়া, জিয়াউল হক মিন্টু, জহিরুল ইসলাম, এস এম ফারুক, হাফেজ কামাল উদ্দিন, জাহাঙ্গির আলম বাবু, আনোয়ার হোসেন, আশরাফ উদ্দিন, মো. সাইদুল, আবুল কালাম আবু, আবু বক্কর ছিদ্দিকী আবু, দেলোয়ার হোসেন, নগর যুবদলের সদস্য আবদুর রহমান আলমগীর, মো. কলিম উল্লাহ, সাব্বির ইসলাম ফারুক, জাহেরী মাসুদ, পাহাড়তলী থানা যুবদলের সদস্যসচিব শওকত খান রাজু, চান্দগঁঁও থানা যুবদলের যুগ্ম আহব্বায়ক মোর্শেদ কামাল, বায়েজিদ থানা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক মনজুর আলম মঞ্জু, পাঁচলাইশ থানা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক আইয়ুব আলী, ৫নং মোহরা ওয়ার্ড যুবদলের সভাপতি আকতার হোসেন, ৪নং ওয়ার্ড যুবদলের আহবায়ক আবু বক্কর বাবু, ২নং জালালাবাদ ওয়ার্ড যুবদল সভাপতি এস এম আলী, ৭নং ওয়ার্ড সভাপতি মো. জাবেদ, ৮নং ওয়ার্ড সভাপতি মো. জাফর, ৩নং পাঁচলাইশ ওয়ার্ড সভাপতি মো. হাসান, ৬নং ওয়ার্ড যুগ্ম আহবায়ক এসকান্দর হোসেন, ৪২নং নাসিরাবাদ সাংগঠনিক ওয়ার্ডের যুগ্ম আহবায়ক মাসুদ আলম, ৪৩নং আমিন শিল্পাঞ্চল সাংগঠনিক ওয়ার্ডের সাইফুল ইসলাম প্রমুখ। বিজ্ঞপ্তি