হাতকড়াসহ আদালত থেকে পালানো আসামি সীতাকুন্ডে গ্রেপ্তার

7

সীতাকুন্ড প্রতিনিধি

হাতকড়াসহ চট্টগ্রাম আদালত থেকে পালানো আসামি শামসুল হক ওরফে বাচ্চুকে (৭১) গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল রবিবার সীতাকুন্ডের ভাটিয়ারী বাস-স্ট্যান্ড থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তার কাছ থেকে ৩৭ পিস ইয়াবাও জব্দ করা হয়েছে বলে জানান জেলা গোয়েন্দা পুলিশের একটি টিম।
গত ৫ জানুয়ারি মাদকের একটি মামলায় গ্রেপ্তারের চট্টগ্রাম জেলা জজ আদালতে হাজির করলে সেখান থেকে পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে পালিয়ে যায় আসামি শামসুল হক।
তিনি কুমিল্লার কালীবাজার ইউনিয়নের কৃষ্ণপুর এলাকার মৃত রহমত আলীর ছেলে। থাকতেন রাজধানীর কেরানীগঞ্জ পৌরসভা এলাকায়। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় সাতটি মামলা রয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বিশেষ শাখা) আবু তৈয়ব মো. আরিফ হোসেন।
পুলিশ জানায়, ৪ জানুয়ারি চন্দনাইশ পৌরসভা উত্তর গাছবাড়িয়া এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে বিশেষ চেকপোস্ট বসায় পুলিশ। ওইদিন দুপুরে একটি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত যাত্রীবাহী বাস থেকে এক হাজার পিস ইয়াবাসহ শামসুল হককে গ্রেপ্তার করে। এরপর তার বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করা হয়। পরদিন ৫ জানুয়ারি তাকে আদালতে পাঠানো হয়। চন্দনাইশ থানা পুলিশ আসামিকে আদালতের জিআরও শাখায় বুঝিয়ে দেয়। এরপর তাকে আদালতে হাজির করা হয়। আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। আদালতের আদেশের পর শামসুলকে কোর্ট হাজতে রাখা হয়।
আসামিকে হাজতে রাখার পর ওইদিন সন্ধ্যায় তাকে কারাগারে পাঠানোর জন্য হাতকড়া লাগানো হয়। পরে তাকে হাজতখানার সামনে সেরেস্তা টেবিলের পেছনে একটি বেঞ্চে বসিয়ে রাখার পর এক ফাঁকে শামসুল পালিয়ে যায়। ৫ জানুয়ারি বিকালে এ ঘটনা ঘটলে পরদিন ৬ জানুয়ারি নগরের কোতোয়ালি থানায় সদর কোর্ট পরিদর্শক জাকের হোসাইন মাহমুদ বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন।
এ ঘটনায় দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যদের দায়িত্বে অবহেলা রয়েছে কিনা খতিয়ে দেখতে চট্টগ্রাম জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (শিল্পাঞ্চল ও ডিবি) আসাদুজ্জামানকে প্রধান করে তিন সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি করে জেলা পুলিশ। তদন্ত রিপোর্ট অনুযায়ী তদন্ত চলমান থাকা অবস্থায় গোয়েন্দা পুলিশ মাদক ব্যবসায়ী শামসুল হককে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়।
সীতাকুন্ড মডেল থানার ওসি তোফায়েল আহমেদ বলেন, সন্ধ্যার দিকে গোয়েন্দা পুলিশ হাতকড়াসহ পালানো এক আসামিকে উপজেলার ভাটিয়ারী বাস স্ট্যান্ড এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে থানায় জিডি দেখিয়ে নিয়ে যান।