হাটহাজারী মাদ্রাসাকে আর্থিক সহযোগিতার আহব্বান কর্তৃপক্ষের

109

পবিত্র মাহে রমজানে সরকার কর্তৃক ঘোষিত সর্বাত্মক লকডাউনে দেশের প্রাচীন ও সর্ববৃহৎ কওমি দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হাটহাজারী মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এসে প্রথমবারের মতো আর্থিক বিশেষ সহযোগিতার আবেদন জানিয়েছে। গতকাল বুধবার বিকালে মাদ্রাসার নিজস্ব ফেসবুক পেইজে লাইভে লিখিত বক্তব্য পাঠ করার মাধ্যমে দেশবাসীর কাছে মাদ্রাসার প্রতি সদয় এবং সহযোগিতার জন্য এই আবেদন জানানো হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন হাটহাজারী মাদ্রাসা পরিচালনা পরিষদের প্রধান আল্লামা মুফতি আব্দুস সালাম চাটগাঁমী, হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমির ও মাদ্রাসার শিক্ষা পরিচালক আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী, পরিচালনা পরিষদ সদস্য আল্লামা ইয়াহইয়া, মাদ্রাসার সিনিয়র শিক্ষক আল্লামা মুফতি জসিম উদ্দিন, সরকারি শিক্ষা পরিচালক আল্লামা শোয়েবসহ সিনিয়র শিক্ষকগণ।
এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মাদ্রাসার শিক্ষক ড. নুরুল আফছার আজহারী। তিনি বলেন, ১৯০১ সনে প্রতিষ্ঠিত হয়ে ১২০ বৎসর আল্লাহর রহমত ও দয়া এবং সর্বসাধারণের আর্থিক অনুদান ও সাহায্য-সহযোগিতার উপর ভিত্তি করেই অত্র জামিয়া ইসলামের নিরলস খেদমত করে আসছে। তবে করোনা পরিস্থিতির জন্য সরকার কর্তৃক ঘোষিত সর্বাত্মক লকডাউনের কারণে জনচলাচল ব্যাপকভাবে সীমিত হয়ে পড়ায় মাদ্রাসার উস্তাদ ও প্রতিনিধিগণ আপনাদের কাছে গিয়ে মাহে রমজানের যাকাত, ফিতরা ও অন্যান্য দানের অর্থ সংগ্রহে বড় ধরনের প্রতিবন্ধকতার মুখে পড়েছে। আর এবারের রমজানেও যদি জামিয়ার গোরাবা ফান্ডে অর্থ সংগ্রহে প্রতিবন্ধকতার মুখে পড়তে হয়, তাহলে প্রতিষ্ঠানের স্বাভাবিক শিক্ষা কার্যক্রম এবং হাজার হাজার গরীব ও এতিম ছাত্রের ভরণ-পোষণ চালু রাখা সংকটের মুখে পড়তে পারে।
চলমান লকডাউন পরিস্থিতির কারণে এ বছরও মাদ্রাসার প্রতিনিধিগণ হয়তো সরাসরি যোগাযোগের সুযোগ পাবেন না। গত বছরের মতো চলতি রমজানেও এই প্রতিষ্ঠানের বিশাল ব্যয় নির্বাহে সহযোগিতার অংশ হিসেবে নিজ নিজ সদক্বা-ফিতরা, নযর, কাফফারা ও দানের অর্থ ব্যক্তিগতভাবে বা এলাকাভিত্তিক সম্মিলিতভাবে মাদ্রাসার ব্যাংক একাউন্ট বা বিকাশ নম্বরে জমা করে এই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষা কার্যক্রম এবং বহুমুখী দ্বীনি খিদমতের ধারা অব্যাহত রাখতে সবার সহযোগিতা প্রয়োজন। দান-সদক্বার অর্থ জমা দিতে প্রয়োজনে জামিয়ার ০১৮১৯-৩২৩৬০২ মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করেও সহযোগিতা নিতে পারবেন। বর্তমানে অত্র জামিয়ার শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীর সংখ্যা ১০০ জন এবং ছাত্র সংখ্যা প্রায় ৮ হাজার। তন্মধ্যে ৪ হাজার ৭শ জন গরীব, এতিম ও মেধাবী ছাত্রকে বিনামূল্যে বোর্ডিং থেকে খোরাকী প্রদান করা হয়।