হাটহাজারীর বাজারে মানুষের ভিড়

93

সরকার ঘোষিত সর্বাত্মক কঠোর লকডাউনের ষষ্ঠ দিনে হাটহাজারী উপজেলার রাস্তাঘাটে বেড়েছে জনসমাগম। বাজারে মানুষের ভিড়। স্বাস্থ্যবিধি মানতে মানুষদের মাঝে অনীহা ছিল চোখে পড়ার মতো। ফলে চট্টগ্রামের করোনায় মৃত্যু ও শনাক্তে হাটহাজারী উপজেলা শীর্ষে রয়েছে। এতে করে উপজেলার সচেতন জনসাধারণ অনকেটা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে। সম্প্রতি বিকেল সাড়ে ৪টায় দিকে উপজেলার হাটহাজারী বাজারের কাঁচাবাজারে দেখা মানুষের ভিড়। বাজারের প্রত্যেকটি গলিতে ছিল মানুষ। সামাজিক দূরত্ব, কিংবা মাস্ক পড়ার কোন নিয়মই পরিলক্ষিত হয়নি বাজারটিতে। রমজান মাস, লকডাউন চলছে। তাই দিনের বেলা কেনাকাটা করতে বাজারে এসেছেন কলেজ শিক্ষক আফজাল হোসেন। তিনি বলেন, এখানে যেভাবে মানুষ কেনাকাটা করছে, তাতে মনে হচ্ছে কারো মাঝে আতংক নেই। আমি নিজে ভয়ে থাকলেও বাধ্য হয়ে সবজি, মাছ-মাংস কিনতে এসেছি। তাছাড়া বাজারের ফুটপাতের লেবু বিক্রেতা শরাফত আলীর মুখে মাস্ক ছিল না। এর কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, মাস্ক আছে। সকাল থেকে মাস্ক মুখে রাখতে রাখতে হাঁপিয়ে উঠেছি। গরমও পড়ছে। নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে যাবার উপক্রম। তাই মাস্ক খুলে রেখেছি। শুধু হাটহাজারী বাজার নয়, পৌরসভার কলেজ গেট বাজার, কাচারী সড়ক, বাসস্টেশন, উপজেলার সরকারহাট, কাটিরহাট, নাজিরহাট, ইছাপুর বাজার, চৌধুরীহাট, আমানবাজার ও নজুমিয়াহাট বাজারে ছিল ক্রেতাদের সরব উপস্থিতি। এছাড়া চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি-রাঙামাটি মহাসড়কের পাশে ভাসমান সবজি ও ফলের দোকান থেকেও কেনাকাটা সারতে দেখা গেছে জনসাধারণকে। এছাড়া গত সোমবার আগের ৫ দিনের চেয়ে সড়কে যানবাহনের উপস্থিতি ছিল বেশি। বেড়েছে অটোরিকশার সংখ্যা। রাস্তায় নেমে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে সিএনজি অটোরিকশা। এদিকে, হাটহাজারীতে স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষিত হওয়ায় দিনদিন বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। গত ২৪ ঘন্টায় এ উপজেলায় সংগৃহীত ৩০ জনের নমুনায় ৯ জন পজিটিভ রোগী শনাক্ত হয়েছে। এনিয়ে চট্টগ্রাম জেলায় এ উপজেলা পর্যায়ে সর্বোচ্চ শনাক্ত ২ হাজার ১১৭ জন এবং এরমধ্যে ২২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যবিধি মানতে প্রশাসন কঠোর ব্যবস্থা না নেয়ার কারণে করোনা সংক্রমণ ঊর্ধ্বগতি হওয়ায় নতুন করে শঙ্কা বাড়ছে এমনটা জানিয়ে হাটহাজারী উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. এএসএম ইমতিয়াজ হোসাইন। তিনি বলেন, বর্তমান করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ রাখতে সবাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে প্রত্যেকে মাস্ক পরা নিশ্চিত করতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি নিয়ে কোনো রকম অবহেলা করা যাবে না। তা না হলে সামনে জীবন দিয়ে এর খেসারত দিতে হবে।