হাটহাজারীতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান

61

বৈশ্বিক মহামারি নোভেল করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) এর প্রাদুর্ভাব রোধ করতে হাটহাজারীতে চলছে লকডাউন। সাথে সাথে ভাইরাসটির ব্যাপকতা বৃদ্ধি থেকে রক্ষা পেতে প্রতিনিয়তই প্রশাসনের কর্তারা উপজেলার ১৪টি ইউনিয়ন ও পৌরসভার আওতাধীন হাট-বাজারগুলোতে চলছে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে যাচ্ছে। কিন্তু গ্রামীণ জনসাধারণকে কোনভাবেই সচেতন করা যাচ্ছে না। এরই ধারাবাহিকতায় গত ২৮ এপ্রিল উপজেলার ফতেয়াবাদ, নন্দীরহাট, চৌধুরী হাট, আমান বাজার, নজুমিয়ার হাট, মদুনাঘাট, পৌরসভা ও দক্ষিণ মাদার্শা ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে সরকারি নির্দেশনা অমান্য করায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ৬টি প্রতিষ্ঠান ১ ব্যক্তিকে ৮ হাজার ৫শ টাকা অর্থদÐ প্রদান করা হয়। উক্ত অভিযান পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) শরীফ উল্লাহ। এ অভিযানে নিার্বহী ম্যাজিস্ট্রেটকে সহযোগিতা করেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। এ সময় চলাচলের রাস্তা হতে ব্যারিকেড অপসারণসহ দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি রোধে বাজার মনিটরিংও করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শরীফ উল্লাহ এ প্রতিবেদককে জানান, অভিযানকালে নির্দেশনা অমান্য করে হোটেল খোলা রাখায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ৪টি হোটেল, ১টি ফাস্টফুডের দোকান, ১টি হার্ডওয়্যার দোকান ও ১জন ব্যক্তিকে ৮ হাজার ৫শ টাকা অর্থদÐ প্রদান করা হয়। এ সময় ৪টি চলাচলের রাস্তা হতে লকডাউনের নামে দেওয়া ব্যারিকেড অপসারণ করাসহ দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি রোধে বাজার মনিটরিংও করা হয়। তিনি আরও জানান, বিকাল ৫টার মধ্যে ফার্মেসি ব্যতীত সকল দোকান বন্ধ হচ্ছে কিনা, কোথাও জনসমাগম হচ্ছে কিনা, কোথাও আড্ডা হচ্ছে কিনা ইত্যাদি বিষয়ে কঠোর মনিটরিং করা হয়। কিন্তু দু:খজনক হলেও সত্য যে, এত কিছুর পরও গ্রামীণ জনসাধারণকে সচেতন করা যাচ্ছে। তবুও এসব জনসাধারণকে সচেতন করতে তথা করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব রোধ উপজেলার প্রতিটি স্থানে এ ধরণের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও তিনি জানান।