হাটহাজারীতে ভেজাল ঘি তৈরি কারখানার সন্ধান

79

কোন রকম দুধ ও দুগ্ধজাত পণ্য ছাড়াই মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর রং ও ফ্লেভারসহ নানা উপকরণ মিশিয়ে কৃত্রিম উপায়ে তৈরি হচ্ছে স্পেশাল ‘ঘি’। হাটহাজারী উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অব্যাহত রয়েছে এই ‘ঘি’ তৈরির কার্যক্রম। কারিগর, স্থান ও নাম ভিন্ন হলেও একই পদ্ধতিতে তৈরি হচ্ছে এই ‘ঘি’।
গতকাল রবিবার উপজেলার ছিপাতলী ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডে অভিযান চালায় ভ্রাম্যমাণ আদালত। এসময় বোয়ালিয়ার মুখের পশ্চিমে প্রবাসী সেলিমের ভাড়াবাসায় একটি ভেজাল ‘ঘি’ তৈরির কারখানার সন্ধান পাওয়া যায়।
ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রুহুল আমিন এবং নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট (ভ‚মি) স¤্রাট খিসা। ভ্রাম্যমাণ আদালতকে সহযোগিতা করে হাটহাজারী উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) নিয়াজ মোর্শেদ ও থানা পুলিশের সদস্যরা।
জানা যায়, বিকাল ৫টার দিকে অভিযান শুরুর আগেই পালিয়ে যায় কারখানার মালিক ও কারিগররা। একটি ফ্যামিলি বাসা ভাড়া নিয়ে ওই কারখানাটি গড়ে তোলা হয়েছিল। তালা ভেঙে কারখানায় প্রবেশ করে পুলিশ ও ভ্রাম্যমাণ আদালত। একঘণ্টার বেশি সময় ধরে অভিযান চালিয়ে মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর কৃত্রিম রং, ৫০ লিটার ‘ঘি’ সদৃশ পদার্থ, কেমিকেল, ফ্লেভার, গোয়ালা প্লাস পিওর ঘি মুদ্রিত লেবেল ও ২ হাজারেরও বেশি কৌটা জব্দ করা হয়েছে বলে জানান ইউএনও রুহুল আমিন। জড়িতদের খুঁজে না পাওয়ায় জেল, জরিমানা করা সম্ভব হয়নি বলেও জানান তিনি।