হাটহাজারীতে জনশুমারী ও গৃহগণনা বিষয়ক প্রশিক্ষণ কর্মশালা

16

হাটহাজারী প্রতিনিধি

‘জনশুমারীর তথ্য দিন পরিকল্পিত উন্নয়নে অংশ নিন’-এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে জনশুমারী ও গৃহগণনা-২২ এর চুড়ান্ত শুমারীর তথ্য সংগ্রহের লক্ষ্যে চার দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালা সম্পন্ন হয়েছে। গত ১ জুন উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে জনশুমারী ও গৃহগননা-২২ প্রকল্পের বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগ, পরিকল্পনা মন্ত্রাণালয়ের আয়োজনে এ প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. শাহিদুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই কর্মশালায় এতে হাটহাজারী, ফটিকছড়ি ও রাউজান উপজেলা উপজেলা শুমারি সমন্বয়কারী জোনাল অফিসার এবং আইটি সুপারভাইজাররা অংশগ্রহণ করেছে। উক্ত কর্মশালায় প্রশিক্ষক ছিলেন চট্টগ্রাম জেলা সমন্বয়কারী (জোন-৬) হাটহাজারী উপজেলা পরিসংখ্যান কর্মকর্তা মোহাম্মদ মহিউদ্দিন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন হাটহাজারী প্রেস ক্লাব সভাপতি কেশব কুমার বড়ুয়াসহ জোনাল অফিসার যথাক্রমে সুবর্ণ সাহা ও মঞ্জুরুল আলম, আইটি সুপারভাইজারবৃন্দ।
প্রসঙ্গত, শুমারি গণনা সঠিকভাবে করার জন্য তিন উপজেলায় ৯ জন জোনাল অফিসার, একশ ৩৪ জন সুপারভাইজার ও ৯শ ৩৪ জন গণনাকারী, আইটি সুপারভাইজার নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে ইউএনও মো. শাহিদুল আলম বলেন, দেশে প্রথম শুমারি শুরু করা হয় ১০৭৪ সালে। এই শুমারির দুইটি কাজ। একটি গৃহগণনা। অন্যটি খানা গণনা। দেশে এটা ষষ্ঠ শুমারী। সঠিক শুমারি করার জন্য গ্রামকে মৌজা হিসাবে ভাগ করা হয়েছে। এই ডিজিটাল শুমারিতে প্রতিজন গণনাকারীকে নির্ভুল গণনার জন্য ৮০-১২০ খানা গণনার নিদের্শনা প্রদান করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, আগামী ১৪ জুন দিবাগত রাতে যারা ঘরে অবস্থান কবরে তাদের গননার আওতায় আনা হবে। আগামী তিন মাসের মধ্যে শুমারি গুনার প্রতিবেদেন সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে পাঠাতে হবে। সম্পূর্ণ ডিজিটাল পদ্ধতিতে নিজস্ব সফটওয়্যার মাধ্যমে এই শুমারী গণনা করা হবে।