হাটহাজারীতে গাছে যুবকের ঝুলন্ত লাশ

43

হাটহাজারীর ফতেপুর ইউনিয়নের জোবরা এলাকা থেকে আনিসুল ইসলাম (১৯) নামে এক যুবকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। প্রাথমিকভাবে পুলিশ এটি আত্মহত্যা বলে ধারণা করলেও নিহতের পরিবারের দাবি তাকে হত্যা করে লাশ ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে এলাকার নওশা পাড়ার মিয়া মেম্বার বাড়ি থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। আনিস ওই বাড়ির রিক্শাচালক মনসুরের একমাত্র পুত্র। তিনি পেশায় রাজমিস্ত্রির সহকারী।
নিহতের স্বজনরা জানান, আনিস রাজমিস্ত্রির কাজ সেরে প্রতিদিনের মত রাত ১০টার মধ্যে ঘরে না ফেরায় তারা চিন্তিত হয়ে পড়েন। মুঠোফোনে বারবার ফোন করলেও তা বন্ধ পাওয়া যায়। নিহতের পিতা আনুমানিক রাত ১টা পর্যন্ত অপেক্ষা করেও ছেলের দেখা পাননি। পরে পরিবারের সদস্যরা ঘুমিয়ে পড়েন।
নিহতের পিতা সকাল ৬টার দিকে পুকুরে যাওয়ার সময় দেখেন ছেলে ঘরের দক্ষিণ পাশে আম গাছের সাথে গলায় রশি লাগানো অবস্থায় ঝুলে আছে। এ সময় তার চিৎকারে নিহতের পরিবারের সদস্যরাসহ বাড়ির লোকজন এগিয়ে আসেন।
পরে খবর পেয়ে পুলিশ এসে সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে।
এদিকে পুলিশ প্রাথমিকভাবে আত্মহত্যা বলে ধারণা করলেও নিহতের পরিবার দাবি করছে এটি পরিকল্পিত হত্যা। আনিসের বাবা মনসুর ও মা দিলওয়ারা বলেন, নিহতের মায়ের সৎ ভাইদের সাথে দীর্ঘদিন ধরে জায়গা নিয়ে সমস্যা চলছে। নিহতের বাবা-মাকে শারীরিকভাবে মারধরের পাশাপাশি মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করেছে তারা। গত এক বছর আগেও নারী সংক্রান্ত একটি ঘটনার জের ধরে নিহত আনিস ও তার বাবা মাসহ বাড়ির সাতজনের বিরুদ্ধে ডাকাতির মিথ্যা মামলা করা হয়। এতে আনিস আটদিন জেলও খেটেছেন। গত শনিবারও তারা গালিগালাজের পাশাপাশি ভিটা ছাড়া করবে বলে হুমকি দেন।
এ ব্যাপারে হাটহাজারী মডেল থানার ওসি মো. বেলাল উদ্দীন জাহাঙ্গীর বলেন, এ ঘটনায় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এছাড়া মৃত্যুর সঠিক কারণ নির্ণয় করতে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।