হাটহাজারীতে ওএসএস’র চাল-আটা কিনতে গাদাগাদি

28

হাটহাজারী প্রতিনিধি

হাটহাজারীতে প্রতিদিন বাড়ছে করোনা সংক্রমণের হার। পাশাপাশি করোনা আক্রান্ত ও উপসর্গ নিয়ে বেড়েই চলেছে মৃত্যুর মিছিল। এদিকে চলমান কঠোর লকডাউনে উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশসহ অন্যান্য বাহিনী কঠোর অবস্থানে রয়েছে। তবে পৌরসভা এলাকায় ওপেন মার্কেট সেল (ওএমএস) এর চাল-আটা বিক্রিতে ক্রেতারা মানছেন না স্বাস্থ্যবিধি। গাদগাদি করে দাঁড়ানোর কারণে ওএমএস’র এই পণ্য ক্রয়ের লাইন থেকেও করোনার বিস্তার ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। অন্যদিকে, ওজনে কম দেয়ার অভিযোগে এক ডিলারের পণ্য বিক্রি স্থগিত করে দিয়েছে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও)। গত বৃহস্পতিবার সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, পৌরসভার এলাকা হাটহাজারী বাসস্টেশন, কলেজ গেট, ডাকবাংলো ও মেডিকেল গেট এলাকায় ওএমএস’র নির্ধারিত স্থানে চাল-আটা বিক্রি করেছে ডিলালের লোকজন। এরমধ্যে হাটহাজারী বাসস্টেশন ও কলেজ গেট কোন প্রকার সামাজিক দূরত্ব না মেনে লম্বা লাইন ধরে গাদাগাদি করে দাঁড়িয়ে আছে নারী-পুরুষ ক্রেতারা। এদের কারো মধ্যে মুখে মাস্কের দেখা মিলেনি। কিছুক্ষণ পর পর পণ্য নেবার জন্য একে অপরকের সাথে ঠেলাঠেলি করছে। পাশাপাশি ক্রেতার সংখ্যা অনেক বেশী হওয়াতে মাঝেমধ্যে চিৎকার ও হুড়োহুড়ি করতে দেখা গেছে। তবে করোনার ভয়ে কোন ক্রেতাকে সামাজিক দূরত্ব মানতে দেখা যায়নি। তবে এই নিয়ে কোন মাথা ব্যথা নেই সংশ্লিষ্ট উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রণ অফিস। করোনাকালে এমন হুড়োহুড়ি ও শারীরিক দূরত্ব না মেনে পণ্য বিক্রি করা ঠিক হচ্ছে কিনা জানতে চাইলে কলেজ গেট এলাকার ডিলার অশোক কুমার সেন জানান, করার কিছু নাই। যতক্ষণ পুলিশ থাকে ততক্ষণ ক্রেতারা স্বাস্থ্যবিধি মানলেও পরক্ষণে তা ব্যস্তে যাচ্ছে। তবে স্বাস্থ্য বিধি উপেক্ষিত ও ওজনে কম দেয়ার ব্যাপারে জানতে চাইলে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রণ সোনাধন ত্রিপুরা’র কাছে মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি কোন সদউত্তর না দিতে পেরে এ প্রতিবেদককের সাথে কথা বলার জন্য অফিস সহকারী ফোন ধরিয়ে দেয়। এদিকে, গত ২৫ জুলাই হাটহাজারী বাজারে ওজনে কম দেয়ার অভিযোগে হাটহাজারী বাজার এলাকায় মো. জাহাঙ্গীর আলম প্রকাশ পানি জাহাঙ্গীর নামে এক ডিলারের পণ্য সাময়িকভাবে বিক্রি স্থগিত করার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে ইউএনও মো. শাহিদুল আলম। এছাড়া স্বাস্থ্য বিধি না মানার ব্যাপারে তিনি বলেন, ওএমএস’র চাল-আটা কিনতে আসা নারী-পুরুষ ক্রেতাদের স্বাস্থ্যবিধি মানতে সার্বাত্ত¡ক চেষ্টা করে যাচ্ছি। তবে তারা নিজ থেকে স্বাস্থ্যবিধি না মানলে সংক্রমণ ঠেকানো কঠিন হবে।