হাজারো রোগীর দৃষ্টিশক্তি ফিরিয়ে দিয়েছে অরবিস

32

রোহিঙ্গা আশ্রয় প্রার্থীসহ কক্সাবাজারে প্রায় ১ লাখ ২০ হাজার শিশু ও প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের চোখ পরীক্ষা করে ১ হাজার ৭০০ রোগীর চোখের অপারেশনের মাধ্যমে দৃষ্টিশক্তি ফিরিয়ে দিয়েছে অরবিস। পাশাপাশি ১৫ হাজার রোগীকে প্রয়োজনীয় ওষুধ এবং ৮ হাজার শিশু ও প্রাপ্তবয়স্ক রোগীকে চশমা দেয় প্রতিষ্ঠানটি।
গতকাল শনিবার সকালে কক্সবাজারের উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনের অতিরিক্ত কমিশনার মো. শামসুদ্দৌজা। খবর বাংলানিউজের
তিনি বলেন, ইউএনএইচসিআর শরণার্থী ও স্থানীয় জনগণ উভয়ের জণ্য কাজ করছে। এ রকম আরো সহায়তা প্রয়োজন। এটি খুবই ভালো একটি উদ্যোগ। বিশেষ করে রোহিঙ্গা শরণার্থী এবং স্থানীয় বাংলাদেশীদের দৃষ্টিশক্তি উন্নয়নে কাজ করছে ইউএনএইচসিআর, ফুজি অপটিক্যাল কোম্পানি লিমিটেড ও অরবিস ইন্টারন্যাশনাল।
জাতিসংঘের শরনার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআর কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শরনার্থী এবং স্থানীয় বাংলাদেশীদের জন্য ফুজি অপটিক্যাল কোম্পানি লিমিটেডের কাছ থেকে ১৫০০টি চশমা অনুদান পেয়েছে। উখিয়ার শরণার্থী ক্যাম্পে এবং স্থানীয়দের জন্য পরিচালিত ‘আই কেয়ার প্রোগাম’র এর অংশ হিসেবে এগুলো অরবিসের কাছে হস্তান্তর করা হয়। পরে বিতরণ করা হয়।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, ফুজি অপটিক্যাল হাজার হাজার শরণার্থীর স্পট দৃষ্টি নিশ্চিত করতে ১৯৮৪ সাল থেকে ইউএনএইচসিআর সাথে কাজ করে আসছে। ফুজি কোম্পানি বেসরকারী খাতে ইউএনএইচসিআর এর সাথে দীর্ঘদিনের অংশীদার।
অনুষ্ঠানে কক্সবাজারের ইউএনএইচসিআরএর সাব-অফিসের প্রধান মারিন কাইদুমচাই বলেন, আমরা শুধু চশমা দিয়ে একজন মানুষকে সাহায্য করছিনা বরং এই দৃষ্টি শক্তির মাধ্যমে তার পুরো পরিবার উপকৃত হবে। শরণার্থী ও স্থানীয় উভয় জনগণের জন্য সেবা বাড়াতে আমাদের আরও নজর দিতে হবে।
অরবিস ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের কান্ট্র্রি ডিরেক্টর ড. মুনির আহমদ বলেন, ২০১৮ সাল থেকে ১ লক্ষ ২০ হাজেরেরও বেশী চোখের স্ক্রিনিং করা হয়েছে এবং ২৮০০ এর বেশী রোগীর ক্যাটারাক্ট সার্জারি করা হয়েছে। এছাড়া ২০ হাজেরের বেশী লোক বিনামূল্যে ওষুধ পেয়েছে এবং ৯ হাজারের বেশী চশমা বিনামূল্যে রোগীদের বিতরণ করা হয়েছে।