হাঁসের ডিম

23

 

সৈকতদের বাড়ির কাছেই একটা নিচু জমি আছে। সেখানে সৈকতরা ঘাসের চাষ করে। পাশে ডোবার মতো জায়গা। বাড়ির সব হাঁস ঐগুলো জলকেলিতে মেতে উঠে। একদিন সৈকত ঘাস চাষের জমির পাশ দিয়ে হাঁটতে গিয়ে দেখে ঘন ঘাসের ভেতর কয়েকটি হাঁস বসে আছে। কিছুক্ষণ পর ঐ পথ দিয়ে ফিরে আসতে দেখে হাঁস গুলো ঘন ঘাসের ভেতর নেই। কিন্তু সৈকত অবাক হয়ে দেখলো হাঁস গুলো যে জায়গায় বসে ছিলো সেই জায়গায় কয়েকটি ডিম পড়ে আছে। সৈকতের বুঝতে অসুবিধা হয়নি যে ডিমগুলো হাঁসের। সৈকত মনের আনন্দে ডিমগুলো কুড়িয়ে নিয়ে দাদির হাতে দিল। দাদী খুশি হয়ে দেখতে এলেন কোথায় ডিমগুলো পেলাম এবং হাঁসগুলো কাদের। হাঁস দেখে বললেন, এ গুলো তো পাশের বাড়ি ! কিন্তু রাতে হাঁসের খোয়াড়ে ডিম না দিয়ে এখানে দিচ্ছে কেন? ভাবনায় পড়লেন দাদি।
এভাবেই অনেক দিন সৈকত মনের আনন্দে ডিম সংগ্রহ করছে আর দাদিকে দিচ্ছে। দাদি পাশের বাড়ির হাঁসের মালিকের কাছে দিয়ে আসছেন। দাদিও ভেবে চিন্তে কারণ বের করেছেন। একদিন দাদী পাশের বাড়ির লোকদের বললেন, দেরি করে হাঁসগুলো খোয়াড় থেকে ছাড়তে। এরপর থেকে হাঁসগুলো খোয়াড়েই ডিম দেয়। এখন আর ঘন ঘাসে ডিম পায় না সৈকত। ভীষণ মন খারাপ। দাদীর কাছে ছুটে গিয়ে কারণ জানতে চায়। দাদি সৈকতকে ব্যাপারটা বুঝিয়ে বললেন। খুব ভোরে হাঁসগুলো ছেড়ে দিলে ঘন ঘাসের ভেতর এসে ডিম দেয়। কিন্তু দেরি করে খোয়াড় থেকে ছাড়লে খোয়াড়েই ডিম পাড়ে । সৈকত দাদির যুক্তি শুনে স্বস্তির নিশ্বাস ফেললো এবং হাঁস ডিম না দেওয়ার কারণ বুঝতে পারলো। একদিন পাশের বাড়ির এক দাদি এসে সৈকতের দাদিকে কয়েকটি ডিম দিলেন। বললেন এগুলো আপনার নাতির জন্য। সৈকত না পেলে তো ডিমগুলোর কথা আমরা জানতামই না। আরো বললেন এগুলো খুশি হয়েই দিলাম। আপনি রাখলে আনন্দ পাবো। দাদি হাসি মুখে ডিমগুলো রাখলেন এবং নাতির জন্য দোয়া চাইলেন।