হলের কক্ষ দখল নিয়ে মুক্তিযোদ্ধার সন্তানকে মারধর

45

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে আবাসিক হলের কক্ষ দখলকে কেন্দ্র করে এক মুক্তিযোদ্ধার সন্তানকে মারধরের পর হল থেকে বের করে দেওয়ার ঘটনায় ছয় ছাত্রলীগ কর্মীর বিরুদ্ধে প্রক্টর অফিস ও থানায় অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থী। গত বুধবার বিকালে পৃথকভাবে দুটি অভিযোগ দেয়া হয়। তার নাম এমদাদুল হক। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের ২০১২-১৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।
অভিযুক্তরা হলেন-বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজতত্ত্ব বিভাগের ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী আজাদুর রহমান আজাদ, লোকপ্রশাসন বিভাগের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের সাব্বির রহমান, সংস্কৃতি বিভাগের একই শিক্ষাবর্ষের মুজাহিদুল ইসলাম, বাংলা বিভাগের একই শিক্ষাবর্ষের আল-আমিন, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের একই শিক্ষাবর্ষের অর্ণব বড়ুয়া, নয়ন মধুক, লোকপ্রশাসন বিভাগের একই শিক্ষাবর্ষের শাহ জামান। তারা সবাই বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের বিলুপ্ত কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদের অনুসারী।
অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়, ‘গত ১ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের এএফ রহমান হলের ৪০১ নম্বর কক্ষে ঢুকে এমদাদকে ছাত্রলীগ কর্মীরা মারধর করে হল থেকে বের করে দেয়। মুক্তিযোদ্ধার সন্তান পরিচয় দিলে তার বাবাকে অশালীন ভাষায় গালাগাল করা হয়।’
এমদাদুল হক পূর্বদেশকে বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের ছয় বছরে কারো সাথে কোন কথা কাটাকাটিতেও জড়াইনি। এএফ রহমান হলে আমার বরাদ্দকৃত ৪০১ কক্ষে ছাত্রলীগ পরিচয় দেয়া একদল সন্ত্রাসী হামলা চালিয়েছিল। আমি তাদের মুক্তিযোদ্ধার সন্তান পরিচয় দিলে তারা আমার বাবাকে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা বলে ও অশালীন ভাষায় গালিগালাজ করেছে। আমি হলের আবাসিক শিক্ষার্থীর কার্ড দেখালেও আমাকে ভুয়া শিক্ষার্থী বলেছে। আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অফিস ও হাটহাজারী থানায় অভিযোগ দিয়েছি। আমার মাস্টার্সের শেষ পরীক্ষা ছিল ৫ ফেব্রুয়ারি। আমি পরীক্ষার কারণে সাথে সাথে অভিযোগ দিতে পারিনি। আশা করি, প্রশাসন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবে।’
অভিযোগের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মোহাম্মদ আলী আজগর চৌধুরী পূর্বদেশকে বলেন, ‘একটি অভিযোগপত্র পেয়েছি। তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। অপরাধীদের কোন ছাড় দেয়া হবে না।’
অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হাটহাজারী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বেলাল উদ্দিন জাহাঙ্গীর। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি জানান।