হরতালে মরিচা ধরে গেছে : কাদের

37

হরতাল আর গণতান্ত্রিক আন্দোলনের কার্যকর হাতিয়ার নয় বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, হরতালে মরিচা ধরে গেছে। গ্যাসের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে আজকের (রবিবার) অর্ধদিবস হরতালে জনগণের সাড়া ছিল না বলেও এ সময় দাবি করেন তিনি।
গতকাল রবিবার দলের সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে সেখানে তার সভাপতিত্বে দলের সম্পাদকমন্ডলীর বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
গ্যাসের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে বাম গণতান্ত্রিক জোটের ডাকা হরতাল নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, রাজধানী ঢাকাসহ কোথাও হরতাল হয়নি। জনজীবনে হরতালের কোনও প্রভাব ছিল না। রাস্তাঘাট ও পরিবহন ব্যবস্থা সবকিছু ছিল স্বাভাবিক। খবর বাংলা ট্রিবিউনের
এদিন তিনি আবারও গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধিকে স্বাভাবিক বলে উল্লেখ করেন। মন্ত্রী বলেন, গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির পরও ভর্তুকি দিতে হবে। গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি বাস্তবসম্মত। গ্যাসের দাম বাড়ানোয় ভোটের রাজনীতিতে নেগেটিভ প্রভাব পড়বে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, সেটা মাথায় রেখে আমরা সিদ্ধান্ত নিতে পারি না। দেশের অর্থনীতির কথাও আমাদের ভাবতে হয়।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের ‘এলএনজি ব্যবসায়ীদের সুবিধা দিতে গ্যাসের দাম বাড়ানো হয়েছে’ অভিযোগের জবাবে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, এটা বিরোধীদের গতানুগতিক বক্তব্য। একই ধরনের বক্তব্য জ্বালানি বিশেষজ্ঞরাও দিচ্ছেন জানালে তিনি পাল্টা সেই বিশেষজ্ঞের নাম জানতে চান।
ওবায়দুল কাদের জানান, আজকের (রবিবার) বৈঠকে ১৫ আগস্ট সামনে রেখে মাসব্যাপী কর্মসূচি, জাতীয় সম্মেলনের সাংগঠনিক প্রস্তুতি, বিভিন্ন নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে কারও কারও অবস্থানের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। তিনি জানান, দলের সদস্য সংগ্রহ অভিযান ২১ জুলাই শুরু হবে। তবে এর আগে এ বিষয়ে দলের সভাপতি শেখ হাসিনার সঙ্গে আলোচনা করা হবে।
স্থানীয় নির্বাচনে যারা দলের বিদ্রোহী প্রার্থী ছিলেন, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া প্রসঙ্গে কাদের বলেন, ‘ডিসিপ্লিন ব্রেক করার আসকারা পেলে এর প্রবণতা বাড়ে। তাই আমরা এর লাগাম টেনে ধরতে চাই। তাদের বিষয়ে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ বিষয়ে ওয়ার্কিং কমিটির মিটিংয়ে সিদ্ধান্ত হবে। কেউ এমপি ও মন্ত্রী হয়ে দলের বিরুদ্ধে কাজ করলে, তাকে মনোনয়ন দেওয়া নাও হতে পারে। কম গুরুত্বপূর্ণ পদ দেওয়া হতে পারে। নানারকম শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে।
‘সরকার খালেদা জিয়ার মুক্তি আটকে রেখেছে’, বিএনপি নেতাদের এমন অভিযোগের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিচার বিভাগ স্বাধীন ও কৃতিত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। খালেদা জিয়ার বিষয়ও বিচার বিভাগের বিষয়।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, ডা. দীপু মনি, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, বন ও পরিবেশ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আব্দুস সবুর, আইন বিষয়ক সম্পাদক রেজাউল করিম, কৃষি বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন, ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ, একেএম এনামুল হক শামীম, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, উপ-দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়–য়া, কেন্দ্রীয় সদস্য এসএম কামাল হোসেন, অ্যাডভোকেট রিয়াজুল কবির কাওছার, মারুফা আক্তার পপি প্রমুখ।