হযরত সৈয়দ এয়াছিন আউলিয়া (রহ.)

696

“মুশকিলকোশা হাজত রওয়া ছৈয়দ ইয়াসিন আউলিয়া
তাজেদারে হাকিকত পে লাখো সালাম”
ইসলামের বাণী প্রচার ও প্রতিষ্ঠাই ছিল নবী রাসূলগণের একমাত্র দায়িত্ব। আল্লাহর বাণী তারা মানুষের মাঝে পৌঁছাত নির্দিষ্ট গোত্র-জাতি অঞ্চল কেন্দ্র করে। আর সর্বশেষ নবী হযরত মুহাম্মদ (দ.)’র দায়িত্ব কোন নির্দিষ্ট জাতি-গোত্রকেন্দ্রিক নয় বরং সমগ্র জগৎব্যাপী।তার বিদায় হজ্বের ভাষণ অনুযায়ী এই দায়িত্ব প্রাপ্ত হন পরবর্তী তারই উম্মতগণ। আর উম্মতের মধ্যে এই দায়িত্ব পালনে যারা সর্বদা সচেষ্ট তারা হলেন তারই বংশধরগণ। সুন্দর কোমল মমতাময়ী জন্মভূমির মায়া ত্যাগ করে ইসলাম প্রচারে অন্যদেশে হিজরত করা তাদের বংশীয় স্বভাব। ঠিক এ স্বভাবেই ইমাম হুসাইন মদিনা ত্যাগ করে কুফায় কারবালায় পৌঁছেন। তার পরবর্তী বংশধরগণও ইসলাম প্রচারে দেশ হতে দেশান্তরে ছুটিয়ে বেড়ান। লক্ষ্য একটাই হেরার আলো কুরআনের বাণী মানুষের মাঝে প্রচার ও প্রতিষ্ঠা।
ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায় এ সবুজ বাংলায় ইসলাম প্রচার ও প্রসারে আউলিয়ায়ে কেরামের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে এ উপমহাদেশে তলোয়ারের মাধ্যমে নয়, জোরজবরদস্তি করে নয়, আল্লাহর প্রিয় বন্ধু আউলিয়ায়ে কেরামের সুন্দর চরিত্র ও আদর্শের বদৌলতে মানব সমাজ ইসলামের সুশীতল ছায়া তলে আসার সুযোগ লাভ করেছে। চট্টগ্রাম হল পীর, বুজুর্গ, সাধু, দরবেশ, অলি-আল্লাদের সাধনার প্রকৃতিগত পুণ্যভূমি। তাই চট্টগ্রাম মদিনাতুল আউলিয়া নামে খ্যাত।
দ্বাদশ থেকে পঞ্চাদশ শতকের মাঝামাঝি সময়ে ইসলামের প্রচার-প্রসার এবং মূলতত্ত¡কে সঠিকভাবে মানুষের নিকট তুলে ধরার জন্য বিভিন্ন দেশ থেকে আসেন বহু পুণ্যাত্মা মনীষী। যাদের ইতিহাসে বার আউলিয়া বলা হয়। এ বার আউলিয়াদের মধ্যে অন্যতম হযরত সৈয়দ ইয়াছিন আউলিয়া (রহ.)। চট্টগ্রামে পটিয়া থানার হুলাইন গ্রামে সুদূর পবিত্র আরব থেকে শুভাগমন করেন আওলাদে রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) সৈয়দ মুহাম্মদ ইয়াছিন আউলিয়া রহমাতুল্লাহ আলাইহে।
প্রখ্যাত পুঁথি সংগ্রাহক মরহুম আবদুস সাত্তার চৌধুরী ও তৎপুত্র বিশিষ্ট পুঁথি গবেষক মুহাম্মদ ইসহাক চৌধুরীর গবেষণায় জানা যায়, ছৈয়দ ইয়াছিন আউলিয়া রহমতুল্লাহে আলাইহে খ্রিষ্টীয় পঞ্চদশ শতাব্দীর কোন এক শুভ মুহূর্তে হুলাইন গ্রামে আগমন করেন। তাঁর শুভাগমনের ঘটনার সাথে এই হুলাইন গ্রামের নামকরণ ও আবাস হওয়ার সম্পর্ক রয়েছে বলে গবেষকদের ধারণা। তাঁর পরিচয় ও আগমন সম্পর্কীয় তেমন কোন পান্ডুলিপি এখনো উদ্ধার হয়নি। তবে তাঁর পরিচয় ও আগমন সম্পর্কে একটি সুপ্রচলিত কিংবদন্তী রয়েছে।
জনশ্রুতি হচ্ছে, এ গ্রামখানি কোন এক সময় প্যারাবন (আগাছা) নামে পরিচিত ছিল। এ সময় তার আশপাশ দিয়ে স্রোতস্বিনী নদী প্রবাহিত ছিল। বর্তমান হুলাইন গ্রামের দক্ষিণ-পশ্চিম সীমান্তে ঐ সময় একদল ধুপীর বাস ছিল। এ সীমান্ত এলাকাটিকে বেলমুড়ী গ্রাম নামেও অভিহিত করা হয়। একদিন দেখা গেল কফিনসহ একটি লাশ ধোপাঘাটে আটকানো রয়েছে। স্থানীয় ধুপীরা দেখেই বুঝতে পারল, এটা কোন এক অজ্ঞাত মুসলমান সাধকের লাশ হবে। ফলে তারা কফিনটা প্যারাবনের ভেতর ঢুকিয়ে দিল। কফিনটা এসে ঠেকল অরণ্যে চলাচল পথ পার্শ্বস্থ এক উঁচু ভূমিতে। ঐ অরণ্য পথ দিয়ে পথ চলতে গিয়ে জনৈক পথিক হঠাৎ আওয়াজ শুনলেন ‘আল্লাহু, হু, আল্লাহু, হু হু’ এভাবে শব্দ। তাই ঐ পথিক এ শব্দগুলো কোত্থেকে আসছে তার সন্ধানে দৌড়াদৌড়ি করতে লাগলেন। এভাবে কিছুক্ষণ পর দেখতে পেলেন একটি লাশের কফিন। পাশে লোকজন কেউ নেই। এ কফিন থেকে বেরিয়ে আসছে পূর্বোক্ত শব্দগুলো।
পথিক ভাবতে লাগলেন, ‘জানি না এ কোন সাধক, নবী (দ.) প্রেমিক যাঁকে মহান আল্লাহ দয়া করে তাঁর প্রিয় বন্ধু হিসেবে কবুল করেছেন।’ ইতোমধ্যে অনেক অলি প্রেমিক লোক জমায়েত হলেন। এ সময় উপস্থিত সকল লোক অদৃশ্য এক আওয়াজ শুনতে পেলেন যে, ‘ইনি হযরত ছৈয়দ মুহাম্মদ ইয়াছিন আউলিয়া রহমতুল্লাহে আলাইহে। তাঁকে এখানে দাফন করুন।’ যথাযথ ভক্তি শ্রদ্ধাসহকারে নবী করিম (দ.) এর পবিত্র কাননের সুরভিত এ পুষ্পকে যথাযথ স্থানে দাফন করা হয়। একদিন ঘটনাচক্রে এ খবর তৎকালীন শাসকগোষ্ঠীর কানে পৌঁছে। ফলে রাজা এক প্রতিনিধি প্রেরণ করলেন। প্রতিনিধি তদন্ত করে বুঝতে পারলেন, কবরটি একজন মহান সাধকের। এ সাধককে ঘিরে চলছে ভক্তবৃন্দের সমবেত কণ্ঠের আল্লাহু, আল্লাহু, জিকির। প্রতিনিধি এ জিকির শুনে এ অঞ্চলের নামকরণ করলেন ‘হুলাইন’। জ্ঞানীজনদের গবেষণায় হুলাইন শব্দের বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, ‘হু’ আরবী শব্দ। এর অর্থ তিনি। অর্থাৎ তিনিই আল্লাহ। ‘লাইন’ শব্দের অর্থ ‘কাতার’ বা সারি অর্থাৎ সমবেত কণ্ঠে ধনি উচ্চারণ বুঝানো হয়েছে, এ শব্দের মাধ্যমে। অতএব হু+লাইন=হুলাইন। অথবা ‘লাইন’ শব্দকে পৃথক করলে হয়, লা+ইন, ‘লা’ অর্থ না বা নাই এবং ‘ইন’ শব্দের আসল রূপ হলো ‘ইন্না’। এই ন্না থেকে শব্দের সংক্ষেপ বা অপরাংশ হয়ে ‘ইন’ হয়েছে। এখানে ‘ইন’ এর অর্থ হলো নিশ্চয়। সুতরাং ‘হুলাইন’ শব্দের অর্থ দাঁড়ায় ‘নিশ্চয় তিনি আল্লাহ ব্যতীত আর কেউ নেই।”
অতএব এ কথা নির্দ্ধিধায় বলা যায় যে, ‘হুলাইন’ গ্রামের নামকরণের সাথে সৈয়দ মুহাম্মদ ইয়াছিন আউলিয়ার আগমন অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত।
তাঁর বেলায়তের রোশ্নী ফয়ুজাত এখানে প্রবহমান ছিল। যার প্রমাণ স্বরূপ দেখা যায়, এতদঞ্চলে তাঁর রূহানী সন্তান, নবী (দ.) প্রেমিক বেশ কয়েকজন অলির জন্মলাভ করা। তাঁরা হচ্ছেন, ষোড়শ শতাব্দীর হযরত শাহ্ মুহাম্মদ ইদ্রিছ রহমতুল্লাহে আলাইহি ও তাঁর পরবর্তী আলেম পুরুষ, সপ্তদশ শতাব্দীর হযরত হুছন ফকির ও হযরত গাজী লস্কর শাহ্ রহমতুল্লাহে আলাইহি, অষ্টদশ শতাব্দীর হযরত কবি মুহাম্মদ ফাজিল, সৈয়দ শাহ নজু ফকির, হযরত মাওলানা সৈয়দ আবদুল হামিদ, মাওলানা আছদ আলি, মাওলানা সৈয়দ আবদুল আজিজ, হযরত শাহসূফি মাওলানা এয়াকুব আলী সহেব রহমাতুল্লাহে আলাইহি (জন্ম: ১৮৮৯ ইং) প্রমুখ আল্লাহর অলিগণ। এদের মধ্যে সৈয়দ মুহাম্মদ ইয়াছিন আউলিয়া রহমতুল্লাহে আলাইহির বেলায়ত ও কামালিয়ত প্রকাশ ও প্রচারের ব্যাপারে তাঁর অন্যতম রূহানী সন্তান আওলাদে রাসূল (দ.) সৈয়দ মুহাম্মদ আবদুল হামিদ রহমতুল্লাহে আলাইহের ভূমিকা ছিল অনন্য। ইয়াছিন আউলিয়ার প্রেমের সাগরে সারাক্ষণ ডুবে থাকতেন নবী ও অলি প্রেমিক সৈয়দ আবদুল হামিদ রহমতুল্লাহে আলাইহি। যার পুরস্কারস্বরূপ তাঁর পবিত্র মাজার শরীফও প্রেমিকের পাশে থাকার একমাত্র সৌভাগ্য অর্জন করেছেন তিনি।
মাওলানা সৈয়দ আবদুল হামিদ রহমতুল্লাহে আলাইহি এক রাতে স্বপ্ন দেখলেন হযরতের কবরটি চার দেয়ালভুক্ত করার জন্য, তিনি এ কাজ করতে গিয়ে অহেতুক এক মামলার শিকার হন। হাকিম কবর গাহের বর্ণনা লিখে আনার জন্য জনৈক দারোগাকে পাঠান। দারোগা রিপোর্ট দিল যে, কবরটি উইপোকার গাড়া (উইপোকায় তোলা মাটির ডিবি) হামিদ রহমতুল্লাহে আলাইহি রাগান্বিত কণ্ঠে বললেন, “যদি উইপোকার গাড়া হয়ে থাকে তো ভাল। যদি না হয় তাহলে তোর পেটেই উইপোকার গাড়া সৃষ্টি হোক।” এ কথা বলার সাথে সাথে নাকি দারোগার মুখ দিয়ে উইপোকা বের হচ্ছিল এবং এ অবস্থায় কিছু দিন পর সে মারা যায়। কারণ যারা আল্লাহর অলির সাথে বেয়াদবি করে তাদেরকে আল্লাহ পছন্দ করেন না।
এক সময় সৈয়দ মুহাম্মদ ইয়াছিন আউলিয়ার পবিত্র মাজার শরীফ ও আশপাশের এলাকায় মাইক বাজানো যেত না। কেন তিনি মাইকের উপর নারাজ ছিলেন মহান আল্লাহ ও তাঁর রাসূল (দ.) ভাল জানেন। তবে পরবর্তীতে এতদঞ্চলের প্রখ্যাত আলেমে দ্বীন, মোজাহেদে দ্বীন মিল্লাত, আশেকে রাসূল (দ.), ইমামে আহলে সুন্নাত আল্লামা গাজী আজিজুল হক শেরে বাংলা আল কাদেরী রহমতুললাহে আলাইহি সর্বপ্রথম এখানে মাইক ব্যবহার শুরু করেন। এ উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ওয়াজ করার জন্য তিনি এখানে আগমন করেন। দীর্ঘক্ষণ একাকী মাজার জিয়ারত করেন এবং চাহেবে মাজারের সাথে রূহানী কথাবার্তা বলে মাইক ব্যবহার করার অনুমতি লাভ করেন। আজ পর্যন্ত এ নিয়ম চালু রয়েছে। আল্লামা শেরে বাংলা রহমতুল্লাহে আলাইহে ছৈয়দ মুহাম্মদ ইয়াছিন আউলিয়াকে একজন উঁচু স্তরের অলি বলে মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেন, তাঁর শুভাগমন এতদঞ্চলের সুন্নীয়তের পতাকা উড্ডীন রাখার জন্য অপরিহার্য ছিল। আল্লামা শেরে বাংলা তাঁর রচিত ‘দিওয়ান-ই-আজিজ গ্রন্থে সৈয়দ ইয়াছিন আউলিয়ার শানে একটি কবিতা রচনা করেন।
উল্লেখ্য যে, এ মহান অলির নামে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ঐতিহ্যবাহী দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হুলাইন হযরত ইয়াছিন আউলিয়া হামেদিয়া আবেদিয়া সিনিয়র মাদ্রাসা ও এতিমখানা এবং সুবিশাল জামে মসজিদ। এটাও তাঁর আধ্যাত্মিক ক্ষমতার বহিঃপ্রকাশ।
কারামত বা অলৌকিক ঘটনা প্রদর্শন আউলিয়ায়ে কেরামের বেলায়তের প্রধান মাপকাঠি নয়। বরং এক্ষেত্রে সুন্নাতের রসুল (দ.) এর পরিপূর্ণ উজ্জীবিত করাই বুজুর্গীর প্রকৃত মাপকাঠি। সৈয়দ ইয়াছিন আউলিয়া রহমতুল্লাহি আলাইহি একজন পরিপূর্ণ আশেকে রাসূল (দ.) ছিলেন বলেই আজ ওফাতপ্রাপ্তির পরও তাঁর রূহানী তাওয়াজ্জুহ ও আধ্যাত্মিক ক্ষমতা ও কারামতের বদৌলতে অগণিত পথহারা মুসলমান পেয়েছে এবং পাচ্ছেন সঠিক পথের সন্ধান। এটাই তাঁর সবচেয়ে বড় কারামত। একজন দ্বীনের পথহারা মানুষকে আল্লাহ তাঁর প্রিয় রাসূল (দ.) এর সঠিক অনুগত ও অনুসারী করে তোলা নিছক কোন সাধকের পক্ষে সম্ভব নয়। একমাত্র একজন কামিল অলির পক্ষে এটাই সম্ভব। কোন অলির দরবারে আসার পর কোন ব্যক্তির আকিদা, আমল, আখলাক সার্বিক বিষয়ে পরিবর্তন সূচিত হওয়া ঐ অলির কামালিয়াতের উজ্জ্বল স্বাক্ষর। হযরত সৈয়দ ইয়াছিন আউলিয়া রহমতুল্লাহে আলাইহির পবিত্র দরবারের মধ্যে তা পরিপূর্ণ হারে উপস্থিত। কতো পথহারা মানুষ এ দরবারে এসে হিদায়ত প্রাপ্ত হয়েছেন তার জ্বলন্ত প্রমাণ এতদঞ্চলের অনেক লোক। হযরত সৈয়দ ইয়াছিন আউলিয়ার অনেক অনেক কেরামত নিত্যদিন প্রকাশিত হচ্ছে। যা’ এ সংক্ষিপ্ত পরিসরে বর্ণনা করা অসম্ভব। আল্লামা রুমীর ভাষায়, “এক জমানা ছোহবতে বা আউলিয়া, বেহতর আজ ছদ ছালা তা আত বেরিয়া” অর্থাৎ প্রকৃত অলির কিছুক্ষণ সাহচর্য শত বছরের অকৃত্রিম আনুগত্যের চেয়ে উত্তম। উল্লেখ্য যে, ইসলাম প্রচারের জন্য যে বারজন অলি চট্টগ্রাম এসেছিলেন তাদের মধ্যে তিনি অন্যতম। তিনি অতি উচু মাপের অলি। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্যযে এ মহান অলির শান মানকে বুলন্দ করার জন্য তেমন কোন উল্লেখযোগ্য ভূমিকা লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। যেমন, বিশাল আকারে ওয়াজ নসিহত, খ্যাতিমান ওলামায়ে কেরামের দাওয়াত করা এটা সময়ের দাবি। তবে এলাকার সর্বস্তরের সুন্নি জনতাকে নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে কমিটি গঠন করলে এ মহান অলির শান মান তথা অত্র এলাকার সুনাম আরো বৃদ্ধি পাবে।
প্রতি বছর ১৫ ফাল্গুন এ মহান অলির পবিত্র ওরশ শরীফ অত্যন্ত শান-শওকতের সাথে শরীয়ত অনুযায়ী চট্টগ্রাম জেলার পটিয়া থানার হুলাইন গ্রামস্থ তাঁর পবিত্র দরবার শরীফ প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হয়। হাজার হাজার ভক্ত-অনুরক্ত এতে শরীক হয়ে অশেষ পুণ্য হাসিল করেন।
লেখক : প্রাবন্ধিক