‘হত্যার উদ্দেশ্যেই’ ছুরিকাঘাত খাতুনগঞ্জের শ্রমিককে

9

নিজস্ব প্রতিবেদক

খাতুনগঞ্জে শ্রমিককে ছুরিকাঘাতের ঘটনায় আহত শ্রমিক মো. মাসুদের ছেলে মো. বাবুল বাদি হয়ে গত সোমবার রাতে কোতোয়ালী থানায় মামলা দায়ের করেছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করে কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুল কবির পূর্বদেশকে বলেন, আসামিরা পলাতক রয়েছে। তাদের ধরার জন্য আমাদের বেশ কয়েকটি টিম কাজ করছে। এর আগে গত সোমবার সন্ধ্যায় ভোগ্যপণ্যের বৃহৎ পাইকারী বাজার খাতুনগঞ্জের চাঁন মিয়া গলিতে দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত হন মো. মাসুদ (৪১) নামে এক শ্রমিক। তিনি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তার অবস্থা শঙ্কামুক্ত নয় বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক। এ বিষয়ে জাতীয় শ্রমিক লীগ সিবিএ-নন সিবিএ সমন্বয় পরিষদের সদস্য সচিব আবুল হোসেন আবু বলেন, গত সোমবার সন্ধ্যার পর থেকে পণ্য লোডিং-আনলোডিং বন্ধ ছিল। আজ (মঙ্গলবার) ব্যবসায়ী সমিতির সিদ্ধান্তে আমরা পুনরায় কাজ শুরু করি।তিনি আরও বলেন, খাতুনগঞ্জে ছুরিকাঘাতে শ্রমিক আহত হওয়ার ঘটনাটি অত্যন্ত ন্যাক্কারজনক। এ ঘটনায় দায়ীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করতে হবে।
বৃহত্তর খাতুনগঞ্জ লোডিং আনলোডিং শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মোহাম্মদ ইব্রাহিম পূর্বদেশকে বলেন, আহত মো. মাসুদের সাথে গত সোমবার বিকেলে রাসেল নামে এক পিকআপ ড্রাইভারের বাকবিতন্ডা হয়। পরে সন্ধ্যায় রাসেল ১০-১২ জন লোকসহ এসে মেসার্স সামিরা ট্রেডিংয়ের সামনে থেকে মাসুদকে টেনে রাস্তার মাঝখানে নিয়ে কয়েক দফা ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। পরে আমরা তাকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠাই। বর্তমানে তিনি আইসিইউতে আছেন। তিনি সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত হামলার কারণ কি, তা বলতে পারছি না। তবে দুর্বৃত্তরা তাকে হত্যার উদ্দেশে হামলা করেছে। আমরা দুর্বৃত্তদের দ্রুত গ্রেপ্তার এবং সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।
চট্টগ্রাম মেডিকেল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ নুরুল আলম আশেক পূর্বদেশকে বলেন, খাতুনগঞ্জে ছুরিকাঘাতে আহত মো. মাসুদ নামে এক শ্রমিককে আশঙ্কাজনক অবস্থায় চমেক হাসপাতালে আনা হলে চিকিৎসকরা তাকে ২৭নং সার্জারি ওয়ার্ডে ভর্তি দেন। বর্তমানে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। তিনি এখন আইসিইউতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এ বিষয়ে কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাহিদুল কবির পূর্বদেশকে বলেন, খাতুনগঞ্জের চাঁন মিয়া গলি এলাকায় মো. মাসুদ নামে এক শ্রমিককে দুর্বৃত্তরা ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। তাদের মধ্যে একজনের নাম মো. রাসেল (২৩)। তিনিসহ অজ্ঞাত আরও ৫-৭ জনের বিরুদ্ধে আহত মো. মাসুদের ছেলে মো. বাবুল বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন।
তিনি আরও বলেন, আসামিদের বিরুদ্ধে কয়েকটি ধারায় মামলা দেয়া হয়েছে। শীঘ্রই তাদেরকে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হবে। ওসি বলেন, বর্তমানে খাতুনগঞ্জ এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। ব্যবসায়ী সমিতি ও শ্রমিক ইউনিয়ন যৌথভাবে বৈঠক করে তাদের নিয়মিত কার্যক্রম স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে এনেছে। পণ্য পরিবহন স্বাভাবিক হয়েছে।