হতাশাই শেষ কথা হতে পারে না : মির্জা ফখরুল

33

একাদশ জাতীয় নির্বাচনকে বাংলাদেশের জনগণ ও আন্তর্জাতিক বিশ্ব প্রত্যাখ্যান করেছে বলে দাবি করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, ‘দেশে কোনও নির্বাচন হয়নি। এটা একটা তামাশা হয়েছে। এতে মানুষের অধিকারকে হত্যা করা হয়েছে। কিন্তু হতাশ হওয়া যাবে না। হতাশাই শেষ কথা হতে পারে না। রাজনৈতিক দল হিসেবে আমাদের যে দায়িত্ব রয়েছে তা হলো কোনোভাবে যেন হতাশার জন্ম না হয়, সেজন্য সজাগ থাকা এবং প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দলের দায়িত্ব জাতীয় ঐক্যকে আরও সুসংগঠিত করা। জনগণের ঐক্যের মধ্য দিয়েই বিজয় লাভ করতে হবে’।
গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে জাতীয় পার্টি (জাফর)-এর প্রয়াত ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও সাবেক মন্ত্রী ড. টি আই এম ফজলে রাব্বি চৌধুরীর স্মরণসভায় এসব কথা বলেন মির্জা ফখরুল। এ সময় একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘এই নির্বাচনে যেটি হয়েছে, তা বাংলাদেশের জনগণ ও আন্তর্জাতিক বিশ্ব প্রত্যাখ্যান করেছে। এটা নিয়ে আর কোনও প্রশ্ন থাকে না’।
বিএনপির মহাসচিব আরও বলেন, ‘অনেকে প্রশ্ন তুলেছেন এটা আওয়ামী লীগ কেন করলো। আমি বলবো, এতে আওয়ামী লীগের একটা বড় ক্ষতি হয়ে গেলো। আওয়ামী লীগ দেশের সবচেয়ে পুরনো রাজনৈতিক দলের একটি। তাদের গণতন্ত্রের গৌরবোজ্জ্বল অতীত রয়েছে। কিন্তু এই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ জনগণের প্রতিপক্ষ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আজকে আওয়ামী লীগের লোকেরাই বলছে, আমার ভোট আমি দিতে পারলাম না কেন’। খবর বাংলাট্রিবিউনের
রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে দাবি করে তিনি আরও বলেন, ‘একটা বিষয় স্পষ্ট প্রমাণ হয়েছে, বাংলাদেশের সব প্রতিষ্ঠানকে তারা ধ্বংস করে দিয়েছে। রাষ্ট্রের জুডিশিয়াল সেক্টর থেকে শুরু করে আনসার পর্যন্ত এবারের নির্বাচনে জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। এই সরকারের ক্ষমতায় যাওয়ার মূল বিষয় হচ্ছে দেশকে একদলীয় শাসনব্যবস্থায় নিয়ে আসা’।
স্মরণসভায় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির (জাফর) মহাসচিব ও সাবেক মন্ত্রী মোস্তফা জামাল হায়দার ও লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরানসহ অনেকে।