হজযাত্রী স্থানান্তর করতে পারবে এজেন্সিগুলো

6

হজ এজেন্সিগুলোকে নিজেদের মধ্যে হজযাত্রী স্থানান্তরের সুযোগ উন্মুক্ত করে দিয়েছে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়। ঘোষণা অনুযায়ী, যেসব এজেন্সিতে নিবন্ধিত হজযাত্রীর সংখ্যা ৯৭ জনের কম, তারা অন্য হজ এজেন্সিগুলোতে তাদের যাত্রীদের স্থানান্তর করতে পারবে। আগামী ১৫ মে এর মধ্যে হজ এজেন্সিগুলোকে এই স্থানান্তর প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে বলা হয়েছে।
গতকাল সোমবার ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় এ সংক্রান্ত একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২০২২ সালে হজ কার্যক্রম পরিচালনার জন্য বৈধ হজ এজেন্সির তালিকায় প্রকাশিত যেসব হজ এজেন্সির প্রাক-নিবন্ধিত ব্যক্তির সংখ্যা ৯৭ বা তার বেশি, সেসব এজেন্সিকে ২০২২ সালের হজের নিবন্ধন স্থানান্তর কার্যক্রমের জন্য অনুমতি দেওয়া হলো। বৈধ যেসব হজ এজেন্সির নিবন্ধিত ব্যক্তির সংখ্যা ৯৭ জনের কম, সেসব হজ এজেন্সি পরস্পর সমঝোতা ও সমন্বয় করে ‘লিড এজেন্সি’তে তাদের হজযাত্রী স্থানান্তর করতে পারবে। যেসব এজেন্সিতে ৯৭ জনের বেশি নিবন্ধিত হজযাত্রী রয়েছে, মূলত তাদেরই ‘লিড এজেন্সি’ বলা হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ১৫ মে’র মধ্যে ‘লিড এজেন্সি’ নির্ধারণ করে ২০২০ সালে নিবন্ধিত হজযাত্রীদের এক এজেন্সি থেকে অন্য এজেন্সিতে স্থানান্তর করতে হবে। সমন্বয়ের কাজ শেষে সৌদি আরবের ই-হজ সিস্টেমে ইউজার তৈরির জন্য সৌদি আরবে হজ এজেন্সির তালিকা এবং হজ এজেন্সিভিত্তিক হজযাত্রীর সংখ্যা (গাইড ও মোনাজ্জেমসহ) পাঠানো হবে। ফলে ১৫ মে’র পর সময় বাড়ানো হবে না।
বিজ্ঞপ্তির তথ্য বলছে, সৌদি আরবে এজেন্সিভিত্তিক হজযাত্রীর তথ্য পাঠানোর পর সব ধরনের প্রতিস্থাপনের কার্যক্রম শুরু হবে। যেসব হজ এজেন্সি বিভিন্ন অভিযোগে শাস্তিপ্রাপ্ত, লাইসেন্স স্থগিত বা লাইসেন্স সচল না থাকায় ই-হজ সিস্টেমে এজেন্সির ইউজার আইডি ও পাসওয়ার্ড নিষ্ক্রিয় রয়েছে, সেসব এজেন্সির অধীন বিদ্যমান নিবন্ধিত হজযাত্রীদের ২০২২ সালে হজ কার্যক্রমে সচল (ইউজার আইডি ও পাসওয়ার্ড সক্রিয়) আছে এবং সৌদি আরবে হজযাত্রী পাঠানোর উপযুক্ত এমন হজ এজেন্সির কাছে বিজ্ঞপ্তির ২ নম্বর অনুচ্ছেদে বর্ণিত একই তারিখের মধ্যে কেবল হজযাত্রী স্থানান্তর কার্যক্রম সম্পন্ন করতে পারবে। খবর বার্তা সংস্থার
করোনা ভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতির কারণে গত দুই বছরে মুসলিমদের ধর্মীয় সম্মিলন হজে সৌদি আরব ছাড়া অন্য কোনো দেশের নাগরিকরা অংশ নিতে পারেননি। দুই বছর পর এবার ফের হজ করার সুযোগ পেয়েছেন বিভিন্ন দেশের নাগরিকরা। এ বছর বাংলাদেশ থেকে ৫৭ হাজার ৮৫৬ জন হজে যেতে পারবেন বলে জানানো হয়েছে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে।