সড়কে শৃঙ্খলায় সরকার ও রাজনীতিকদের সদিচ্ছা চাই: ইলিয়াস কাঞ্চন

16

পূর্বদেশ অনলাইন
চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন বলেছেন, জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস ২০২২- এর প্রতিপাদ্য ছিল- আইন মেনে সড়কে চলি, নিরাপদে ঘরে ফিরি। সরকার দিবসটি ঘিরে এবারের এই প্রতিপাদ্য নির্বাচনের মধ্য দিয়ে আইনের সঠিক প্রয়োগ ও বাস্তবায়নের ওপর জোর দিয়েছে বলে আমরা মনে করি। সড়কে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠায় সঠিক ম্যানেজমেন্ট করতে হলে আইনের বিকল্প নেই। সর্বপ্রথমে প্রয়োজন সরকার ও রাজনৈতিক মহলের সদিচ্ছা। যেমন সড়কে চলাচলে চালক, মালিক, যাত্রী, পথচারী সবাইকে প্রশিক্ষণের আওতায় আনতে হবে। কারণ সড়কের ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে জানার প্রক্রিয়া, নির্দেশনা ও করণীয় কী সঠিকভাবে তুলে ধরা না গেলে সড়ক দুর্ঘটনার লাগাম টেনে ধরা সম্ভব নয়। জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস-২০২২ উদযাপনে নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা) কেন্দ্রীয় ও শাখাগুলোর মাসব্যাপী এবং চট্টগ্রাম মহানগর কমিটির উদ্যোগে ডায়মন্ড সিমেন্ট লিমিটেডের সহযোগিতায় তিন মাস ধরে তিন শতাধিক স্কুলের শিক্ষার্থীদের সড়ক নিরাপত্তা বিষয়ক সমাবেশ কর্মসূচির সমাপ্তি উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। সোমবার (৩১ অক্টোবর) বিকেল ৩টায় চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের এস রহমান হলে ‘আইন মেনে সড়কে চলি, নিরাপদে ঘরে ফিরি’ প্রতিপাদ্যে সংবাদ সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে নিরাপদ সড়ক চাই’র কেন্দ্রীয় কমিটির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ইলিয়াস কাঞ্চন এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, স্মারকলিপির মাধ্যমে আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে তুলে ধরেছি- জাতিসংঘ ঘোষিত সড়ক দুর্ঘটনার অন্যতম ৫টি পিলার যথাক্রমে- সড়ক নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনা, নিরাপদ যানবাহন, নিরাপদ সড়ক, নিরাপদ সড়ক ব্যবহারকারী, সড়ক দুর্ঘটনায় পরবর্তী করণীয়- বাস্তবায়নের কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে। সেইসঙ্গে সড়ক দুর্ঘটনার জন্য ৫টি অতি ঝুঁকিপূর্ণ বিষয়- গতি, হেলমেট, সিটবেল্ট, মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালনা ও শিশু আসনের ওপর গুরুত্ব দিয়ে কার্যকর পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে হবে। কিন্তু জাতিসংঘ চিহ্নিত এই ৫টি ঝুঁকিপূর্ণ বিষয় নিশ্চিত ও বাস্তবায়ন করতে হলে এবং সড়ক নিরাপদ করতে আইনের যথাযথ প্রয়োগ অপরিহার্য। কারণ কোনো রাস্তায় যানবাহনের ধরন ভেদে কোন গাড়ির কত গতি হবে সে সম্পর্কে উল্লেখ নেই। মোটরসাইকেল চালকদের প্রতি হেলমেট মেইনটেইন ও পরিধানের কোন নির্দেশনা না থাকায় শুধু আইনের হাত থেকে বাঁচতে নিম্নমানের হেলমেট অহরহ ব্যবহৃত হচ্ছে। শুধু চালকের সিটবেল্ট ব্যবহারের নির্দেশনা থাকায় যাত্রীদের সিটবেল্ট পরিধানের সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা না থাকায় যাত্রীরা সিটবেল্ট ব্যবহার করছে না। এ ছাড়া ডোপ টেস্টের সঠিক ব্যবহার ও মনিটরিং না থাকায় এখনও অনেক চালক মদ্যপ ও নেশাগ্রস্ত অবস্থায় গাড়ি চালনা করছে এবং আমাদের দেশে শিশুদের জীবন রক্ষার্থে শিশু আসনের কোনো বিধান সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮-তে উল্লেখ নেই। যা বিধিমালায় অন্তর্ভুক্ত করে প্রয়োগ ও বাস্তবায়ন করার দাবি করছি।নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা) চট্টগ্রাম মহানগর কমিটির সভাপতি এস এম আবু তৈয়বের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক শফিক আহমেদ সাজীবের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে বিশেষ অতিথি ছিলেন নিরাপদ সড়ক চাই কেন্দ্রীয় কমিটির মহাসচিব লিটন এরশাদ, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী ফরিদ, ডায়মন্ড সিমেন্ট লিমিটেডের পরিচালক লায়ন হাকিম আলী। উপস্থিত ছিলেন নিরাপদ সড়ক চাই কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম মহাসচিব লায়ন গনি মিয়া বাবুল, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুর রহমান, অর্থ সম্পাদক আসাদুর রহমান, সমাজ কল্যাণ সম্পাদক মোহসিন খান, জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস উদযাপন কমিটির সদস্যসচিব রোকনুজ্জামান রোকন, একে আজাদ, নুরুল হুদা, এম কাইয়ুম খান, আবদুর রাজ্জাক, চট্টগ্রাম মহানগর কমিটির আইন বিষয়ক সম্পাদক টিপু শীল জয়দেব, সমাজকল্যাণ ও ক্রীড়া সম্পাদক রেজাউল করিম রিটন, যুব বিষয়ক সম্পাদক সনত তালুকদার, নির্বাহী সদস্য আরিচ আহমেদ শাহ, রেবা বড়ুয়া ও মোহাম্মদ ইব্রাহিম।