নিজস্ব প্রতিবেদক
ডিজেলের দামবৃদ্ধির পর নতুন করে ভাড়ার তালিকা তৈরি করেছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)। এরপরও চালক-শ্রমিকরা যাত্রীদের জিম্মি করে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছে। এমনকি নতুন ভাড়া নির্ধারণ করার সপ্তাহ পার হলেও কোনো পরিবহনে ঝুলানো হয়নি তালিকা। এ নিয়ে বিআরটিএ’র পক্ষ থেকে বলা হলেও চালক-শ্রমিকরা বিষয়টি আমলে নিচ্ছে না।
ফলে বিআরটিএ’র পক্ষ থেকে ভিজিল্যান্স টিম করে গণপরিবহনে ভাড়ার তালিকা টাঙানোর কার্যক্রম শুরু করেছে বলে জানিয়েছেন সংস্থার চট্টগ্রাম বিভাগের পরিচালক (ইঞ্জি.) মো. শফিকুজ্জামান ভূঞা।
তিনি বলেন, তেলের দাম বৃদ্ধির পর আমরা ভাড়ার তালিকা প্রস্তুত করে সকলের কাছে পৌঁছে দিয়েছি এবং তদারকির জন্য বিআরটিএ’র কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সমন্বয়ে ভিজিলেন্স টিম গঠন করেছি। বর্তমানে তাদের কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।তাছাড়াও নিয়মিতভাবে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হচ্ছে।
ভিজিল্যান্স টিমের কো-অর্ডিনেটর ও চট্টগ্রাম বিভাগের সহকারী পরিচালক (ইঞ্জি.) মো. আতিকুর রহমান বলেন, আমরা প্রত্যেকটি গাড়িতে উঠে যাত্রীদের নতুন ভাড়া সম্পর্কে ধারণা দিচ্ছি এবং ভাড়ার তালিকা টাঙিয়ে দিচ্ছি। এছাড়াও জমিয়তুল ফালাহ মাঠে বাস জরিপ করার সময় ভাড়ার তালিকা যথাযথ লাগানো হয়েছে কি না তা দেখার জন্য সংশ্লিষ্টদের বলে দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দকেও জরিপের পূর্বে প্রত্যেকটি পরিবহনে ভাড়ার চার্ট লাগানোর ব্যাপারে নির্দেশনা দিয়েছি।
এদিকে নগরীর অক্সিজেন মোড়ে ভিজিল্যান্স টিমের দায়িত্ব পালন করেন সহকারী পরিচালক (ইঞ্জি.) প্রদীপ কুমার দেব, মোটরযান পরিদর্শক মো. আলাউদ্দিন, মেকানিক্যাল এসিস্ট্যান্ট ফাহাদ সিকদার ও রেকর্ড কিপার তসলিম মাহমুদ। বহদ্দারহাট এলাকায় দায়িত্ব পালন করেন সহকারী পরিচালক (ইঞ্জি.) রায়হানা আক্তার উর্থী, মোটরযান পরিদর্শক শাহাদত হোসেন চৌধুরী, উচ্চমান সহকারী মো. সলিম উল্লাহ, অফিস সহকারী মো. দেলোয়ার হোসেন। দামপাড়া ওয়াসার মোড়ে দায়িত্ব পালন করেন সহকারী পরিচালক (ইঞ্জি.) প্রদীপ কুমার দেব, মোটরযান পরিদর্শক কে. মো. সালাউদ্দিন, সহকারী মোটরযান পরিদর্শক মো. আবু নাঈম, অফিস সহকারী সৈকত পাল, পাহাড়তলীর অলংকার মোড় এলাকায় দায়িত্ব পালন করেন সহকারী পরিচালক (ইঞ্জি.) মো. তৌহিদুল হোসেন, মোটরযান পরিদর্শক ওমর ফারুক, অফিস সহকারী মো. দেলোয়ার হোসেন ও শহীদুল আলম। কদমতলী বিআরটিসি মোড় এলাকায় দায়িত্ব পালন করেন সহকারী পরিচালক (ইঞ্জি.) মো. তৌহিদুল হোসেন, মোটরযান পরিদর্শক পলাশ খীসা, মেকানিক্যাল এসিস্ট্যান্ট মোশাররফ হোসেন ও অফিস সহকারী মো. এনামুল হক।
এছাড়াও গণপরিবহনে নানা অসঙ্গতির বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করছে বিআরটিএ’র ভ্রাম্যমাণ আদালত। এতে গত ৭ আগস্ট রবিবার থেকে ১১ আগস্ট বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ভ্রাম্যমাণ আদালত-১২ এর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মিশকাতুল তামান্নার নেতৃত্বে ৫০টি মামলায় ৯২ হাজার টাকা এবং ভ্রাম্যমাণ আদালত-১৩ এর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শাহরিয়ার মুক্তারের নেতৃত্বে ৫৫টি মামলায় এক লক্ষ ২৪ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শাহরিয়ার মুক্তার পূর্বদেশকে বলেন, কাগজপত্র ঠিক না থাকা, লাইসেন্সবিহীন গাড়ি চালানো, অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করার অপরাধে নগরের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চলছে। এতে জরিমানার পাশাপাশি সতর্ক করে দেয়া হচ্ছে। আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
