সড়কে ছোট-বড় গর্ত, ঝুঁকিপূর্ণ চলাচল

6

মাসুদ নাসির, রাঙ্গুনিয়া

সড়ক জুড়ে অথৈই পানি তার উপর ছোট বড় গর্ত। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নানা পরিবহনের চালকরা গাড়ি চাল্লাচ্ছে। অনেকটা অনুমান নির্ভর করে গাড়ি চালানোতে গাড়ি গর্তে আটকা পড়ে সড়কে যানজটের লাম্বা সারী। গর্তে পড়ে গাড়ি উল্টে গিয়ে দুর্ঘটনার সৃষ্টি করছে। এ চিত্র চট্টগ্রাম কাপ্তাই সড়কের বিস্তীর্ণ সড়ক জুড়ে। জানা যায়, চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়কটি উত্তর চট্টগ্রামের অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ সড়ক দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার নানা পেশার মানুষ নানা পরিবহনে করে যাতায়ত করে খাকে। চট্টগ্রামের পর উত্তর চট্টগ্রামের ব্যাস্ততম এ সড়কের মরিয়াম নগর চৌমহনী, কাটাখালী, লিচুবাগান, পোমরা শান্তির হাট এলাকাসহ ৪০টি স্থানে খানা খন্দকে সড়ক দিয়ে যানবাহন ও জন চলাচল ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। সড়কে হারমেশা বড় ছোট দুর্ঘটনা নিত্য দিন ঘটছে। অকালে প্রাণ হারাচ্ছে প্রতিদিন। দুর্ঘটনায় আহত হয়ে আজীবন পঙ্গুত্ব নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে। এ চিত্র দিন দিন ভয়াবহ হলেও সমস্যা উত্তোরণের কোন লক্ষণ নেই। সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের আওতাধীন ৪৭ কিলোমিটার এ সড়কটি উত্তর চট্টগ্রামের হাটাহাজারী, রাউজান রাঙ্গুনিয়া পাবর্ত্য চট্টগ্রামসহ পার্শ্ববর্তী এলাকার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এ সড়ক দিয়ে চট্টগ্রাম শহরে যাওযার একমাত্র মাধ্যম। প্রতিদিন এ সড়ক দিয়ে চলাচল করে ঢাকা চট্টগ্রামের নানা পরিবহন। বাস পণ্যবাহী ট্রাক পিবআপ স্এিনজি। অতি বৃষ্টি, নানা অনিয়ম ও তদারকির অভাবে চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়ক হাজার হাজার মানুষের ভোগান্তির কেন্দ্র হয়ে দাঁড়িয়েছে সড়কটি । বর্ষার অতিরিক্ত বর্ষণের কারণে সড়কের ৪০ স্থানে খানাখন্দকে ভরে গেছে। জানা যায়, র্দীঘদিন ধরে সড়কের এসব খানা খন্দক সংস্কার না করায় সড়কটি বেহাল হয়ে পড়েছে। সবমিলিয়ে সড়কটির অকস্থা খুব খারাপ। চলাচলে অনুপযোগী সড়কটি জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হয়। বিকল্প কোন সড়ক না থাকায় সড়কটি দিয়ে হাজার নারী পুরুষ ঝুঁকির মধ্যে চলাচল করতে হচ্ছে। রাঙ্গুনিয়ার গোডাউন থেকে ২০ কিলোমিটার জুড়ে রয়েছে খানাখন্দক। মরিয়াম নগর চৌমহনীর বাসিন্দা আজম ফাহিম জানান, সড়কে খানা খন্দকের কারণে কর্মমুখি মানুষের সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে। এসব মানুষ এ সড়ক দিয়ে দিনে ৪-৫ বার আসা যাওয়া করে। যানবাহন গুলো সৃষ্ট গর্তে পড়ে দুর্ঘটনার শিকার হতে হয়। সড়কের দ্রæত সংস্কার কাজ করে যান ও জন চলাচল উপযোগি করার জোর দাবী জানিয়েছেন। কাপ্তাইয়ের কর্ণফুলী কলেজের অধ্যাপিকা সুলতানা রাজিয়া জানান, প্রতিদিন কলেজে আসা যাওয়া করতে হয়। ভোরে বাসা থেকে বাহির হলেও এ সড়কের কারণে নিদিষ্ট সময়ে গন্তব্যে পৌঁছানো সম্ভব হয় না। ভোগান্তি ও হয়রানী এবং জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আমাদের চলাচল করতে হয়। বিভিন্ন স্থানে ক্ষতবিক্ষত সড়ক। যানবাহন চলে ঝুঁকি নিয়ে। যেকোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে। সড়কের ফুটপাত দখলের ফলে দীর্ঘ সময় যানজটে আটকে থাকতে হয়। চন্দ্রঘোনা দোভাষী বাজার ওয়ান ব্যাংকের ম্যানাজার মো. মমতাজ জানান, আমরা প্রতিদিন চট্টগ্রাম শহর থেকে এ সড়ক দিয়ে যাওয়া আসা করতে হয়। সড়কে গর্তের কারণে ১ ঘন্টার পথ আড়াই ঘন্টাও শেষ হয়না। হাট ও দোকানপাটের কারনে সৃষ্ট যানজট নিরসনে স্থানীয় প্রতিনিধি ও হাট সংশ্লিষ্টদের নজর দেওয়া উচিৎ। এবং সড়কের পাশ হতে এসব হাট তুলে দেয়া বিশাল বড় কাজ বা দীর্ঘ সময়ের কাজ না হলেও এর সুফল লাখ লাখ মানুষের দীর্ঘদিনের ভোগান্তি দূর করতে সক্ষম। চট্টগ্রাম বাস মিনিবাস ওয়াকাস ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক শ্রমিক নেতা মো. শাহ আলম জানান, সড়কের বিস্তীর্ণ অংশে খানাখন্দকের মধ্যে গাড়ি চালকদের গাড়ি চালাতে হচ্ছে।
এসব খানাখন্দক সংস্কারের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের এগিয়ে আসতে হবে। সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী রাশেদুল আলম জানান, সড়কের বিস্থর্ণ অংশে গর্ত গুলির মেরামত কাজ শিঘরই শুরু করা হবে। রাঙ্গুনিয়া উপজেলা নির্বার্হী কর্মকর্তা ইফতেখার ইউনুস জানান, সড়কে রাঙ্গুনিয়ার অংশে খানাখন্দক বেশী। এ থেকে সাধারণ মানুষ পরিত্রাণ চায়। জন দুর্ভোগ কমাতে সড়কের সংস্কার কাজ করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে এগিয়ে আসতে হবে।