চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরীর নির্বাচনী ইশতেহারে ঘোষিত নগরীকে স্মার্ট সিটিতে রূপান্তরের আলোকে স্বয়ংক্রিয় এলইডি বাতি দ্বারা আলোকায়নের কর্মপরিকল্পনা দ্রুত বাস্তবায়নের কাজ চলমান রয়েছে। এই কর্মপরিকল্পনা অনুযায়ী নগরীর আবাসিক ও বাণিজ্যিক এলাকার সড়কগুলো সূর্যাস্তের পর থেকে পরবর্তী সূর্যোদয় পর্যন্ত সার্বক্ষণিক আলোকিত থাকবে। তখন আলো ঝলমল নগরে অন্ধকারে থাকবে না।
শনিবার বিকেলে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের পুরাতন নগর ভবনস্থ কে.বি আবদুচ সত্তার মিলনায়তনে সড়ক বাতির স্যুইচ অন-অফ কাজে দায়িত্বপ্রাপ্ত ইমাম, মুয়াজ্জিন ও পুরোহিতদের বাৎসরিক সম্মানী ভাতা প্রদান অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে চসিক বিদ্যুৎ স্ট্যান্ডিং কমিটির সভাপতি ও শুলকবহর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. মোরশেদ আলম এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে এলইডি আলোকায়নের অগ্রগতি ও কর্মপরিকল্পনা উপস্থাপন করে বক্তব্য দেন-প্যানেল মেয়র মো. গিয়াস উদ্দিন, কাউন্সিলর অধ্যাপক মোহাম্মদ ইসমাইল, ওয়াসিম উদ্দিন চৌধুরী। স্বাগত বক্তব্য দেন তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী (বিদ্যুৎ) ঝুলন কুমার দাশ। চসিক নির্বাহী প্রকৌশলী (বিদ্যুৎ) রেজাউল বারী ভূঁইয়ার পরিচালনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সিবিএ’র সিনিয়র সহসভাপতি জাহিদুল আলম চৌধুরী।
সভায় জানানো হয়, এ পর্যন্ত নগরীর ২শ কিলোমিটার সড়কে এলইডি বাতি প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। অচিরেই আরো ৪শ কিলোমিটার সড়কে এলইডি বাতি প্রতিস্থাপনের জন্য দরপত্র আহ্বান প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। নগরীর ৫৩টি মোড়ে স্বয়ংক্রিয় অত্যাধুনিক ট্রাফিক সিগন্যাল পোস্ট স্থাপনের কাজও চলছে। বর্তমানে নগরীকে স্মার্ট সিটিতে রূপান্তরের প্রধান অনুষঙ্গ এলইডি বাতি প্রতিস্থাপন করে আলোকায়ন করতে মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরীর নির্দেশনায় বিদ্যুৎ স্ট্যান্ডিং কমিটির সভাপতি মো. মোরশেদ আলমের নেতৃত্বে চসিক বিদ্যুৎ বিভাগরে প্রকৌশলী ও জনবল সার্বক্ষণিকভাবে নিয়োজিত আছে। এলইডি আলোকায়ন যেহেতু বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী সে কারণে এই কর্মপরিকল্পনাকে অগ্রাধিকার বিবেচনায় গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে এবং ভবিষ্যতে বিদ্যুৎ বিল অর্ধেকে নেমে আসবে। বিজ্ঞপ্তি