সড়কের বর্ধিত অংশ সিএনজি ট্যাক্সি ও হকারের দখলে

30

দক্ষিণ চট্টগ্রামের অন্যতম ব্যস্ততম চাতরী চৌমহনী বাজার সড়কের বর্ধিত অংশ সিএনজি অটোরিকশা ও হকারদের দখলে থাকে সবসময়। আনোয়ারা, চন্দনাইশ, বাঁশখালী, পেকুয়াগামী সিএনজি অটোরিকশাগুলো বাজারের গোলচত্বরের চারপাশে যাত্রী উঠানামা করার জন্য দাঁড়িয়ে থাকে।
ফলে সড়কে বড় যানবাহনগুলোর চলাচলের জায়গা সংকুচিত হয়ে পড়ে। এ কারণে গোলচত্বর ঘেঁষে চলতে হয় বড় যানবাহন গুলোকে। ফলে গোলচত্বরের নিরাপত্তার জন্য দেয়া ধারালো লোহার এঙ্গেল গুলোতে লেগে প্রতিদিন ফেটে যাচ্ছে বাস-ট্রাক-কাভার্ড ভ্যানের চাকা। এছাড়া যেখানে সেখানে সিএনজি অটোরিকশাগুলো দাঁড়িয়ে থাকার কারণে সড়কে প্রায়ই যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে।
সূত্র জানায়, গত এক বছর আগে প্রায় ৬৩ লক্ষ টাকা ব্যয়ে সড়ক প্রশস্তকরণ প্রকল্প বাস্তবায়ন করে উপজেলা প্রশাসন। তবে এর পুরোপুরি সুফল ভোগ করতে পারছেনা জনসাধারণ। প্রতিদিন বাস-ট্রাকের একাধিক চাকা ফেটে গেলেও এসব প্রতিকারের কোনো ব্যবস্থা কাজে আসছেনা। তাছাড়া প্রতিদিন বিভিন্ন সময় এসব চাকা বিকট শব্দে ফাটলে যাত্রী, ব্যবসায়ী ও বাজারে আসা ক্রেতাসাধারণ আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়ে।
অন্যদিকে একেকটা গাড়ির চাকা ফেটে গেলে দুশ্চিন্তায় পড়ে যান গাড়ির চালক ও মালিকরা। কেননা প্রতিজোড়া চাকার দাম প্রায় চল্লিশ হাজার টাকা। বিষয়টির প্রতি প্রশাসনের বিশষ নজর দেয়া উচিত বলে মনে করেন স্থানীয় ব্যবসায়ী, গাড়ির চালক ও যাত্রী সাধারণ।গোলচত্বরের চরপাশের জায়গা যানজটমুক্ত রাখতে কার্যকর কোন উদ্যোগ নেই প্রশাসনের। বাজারে দায়িত্বরত ট্রাফিক পুলিশরা মাঝে মাঝে লাঠিচার্জ করলে সিএনজি অটোরিকশাগুলো চলে যায়। কিন্তু কিছুক্ষণ পর তারা আবার জায়গাগুলো দখল করে ফেলে। এসব সিএনজি অটোরিকশা টোকেনে চলাচল করায় ট্রাফিক পুলিশরাও বেশিকিছু করতে পারেননা বলে জানা গেছে। সিএনজি চালকরা এক প্রকার অধিকার খাটিয়ে সড়কের উপর দাঁড়িয়ে থাকেন বলে জানিয়েছেন যাত্রীরা।
এ ব্যাপারে পিএবি সড়ক যানবাহন মালিক সমিতির সভাপতি জাফর উদ্দিন চৌধুরী বলেন, সড়কের বর্ধিত অংশ সিএনজি অটোরিকশার দখলে থাকার কারণে প্রতিদিন বেশ কয়েকটি গাড়ির চাকা ফেটে যাচ্ছে। ফলে চালক-মালিকরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) শেখ জোবায়ের আহমদ বলেন, সড়কের বর্ধিত অংশ পুরোপুরি যানজটমুক্ত রাখতে খুব দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।