সড়কের পাশেই জমজমাট তরমুজ ও বাঙ্গি হাট

84

রাউজান পৌরসভার সুলতানপুর জানালী হাট, সরতের দোকান এলাকায় বিশাল বাঙ্গি ও তরমুজের হাট এখন জমজমাট। এখানে স্থানীয় চাষি ও বিভিন্ন এলাকা থেকে বাঙ্গি তরমুজ আসে বিকিকিনির জন্য। চরাঙামাটি সড়কের রাউজান জানালী হাট ও সরতের দোকান এলাকা থেকে বাঙ্গি ও তরমুজ নগরীসহ বিভিন্ন এলাকায় পাইকারীভাবে ক্রয় করে নিয়ে ফল ব্যবসায়ী। বিশেষ করে রাউজান ফকির হাট বাজার, রমজান আলী হাট, জলিল নগর বাস স্টেশন, গহিরা চৌমুহনী, নতুন হাট, ফতেহ নগর বাজার, জগ্ননাথ হাট, আমির হাট, হক বাজার, পাহাড়তলী চৌমুহনী, পথের হাট, গহিরা চৌমুহনী সহ বিভিন্ন হাট বাজারে এনে বিক্রয় করছে। এছাড়াও প্রতিদিন এলাকার লোকজন তাদের আত্বীয় স্বজনদের বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার জন্য ফল ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে ও কৃষক থেকে বাঙ্গি তরমুজ ক্রয় করে সিএনজি অটোরিক্সা ভর্তি করে নিয়ে যায়। রাউজান উপজেলা উপ সহকারী কৃষি কর্মকতা সনজিব কুমার সুশীল জানান, রাউজানে এ বৎসর ১৫ হ্ক্টের জমিতে বাঙ্গি ও ৮ হেক্টর জমিতে তরমুজ ক্ষেতের চাষাবাদ হয়েছে। তরমুজ ও বাঙ্গি ক্ষেতের চাষাবাদ করা জমি থেকে বাঙ্গি ও তরমুজ ব্যবসায়ীরা কৃষকের কাছ থেকে ক্রয় করে হাট বাজারে নিয়ে গিয়ে বিক্রয় করছে। রাউজানের ডাবুয়া রোয়াইঙ্গা বিল এলাকার কৃষক আলী আকবর বলেন, এ বছর ২ একর ৮০ শতক জমিতে তরমুজের চাষাবাদ করে কৃষক আলী আকবর। ২ একর ৮০ শতক জমিতে তরমুজের চাষাবাদ করতে কৃষক আলী আকবরের খরচ হয় ৪ লাখ টাকা। রাউজান পৌরসভার পশ্চিম সুলতানপুর এলাকার কৃষক আরিফ বিল্লাহ বলেন, এ বছর ১ একর ২০ শতক জমিতে বাঙ্গি ক্ষেতের চাষাবাদ করেছে। ১ একর ২০ শতক জমিতে বাঙ্গি ক্ষেতের চাষাবাদ করতে কৃষক আরিফ বিল্ল্যাহর খরচ হয় ৪৫ হাজার টাকা। এপর্যন্ত কৃষক আরিফ বিল্লাহ তার বাঙ্গি ক্ষেত থেকে ৪০ হাজার টাকার বাঙ্গি বিক্রয় করছে। আরিফ বিল্লাহ আশা করছেন তার বাঙ্গি ক্ষেত থেকে ১ লাখ টাকার বাঙ্গি বিক্রয় করতে পারবে। রাউজান পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শওকত হাসান চৌধুরী বলেন, আমার এলাকায় সুলতানপুর কাজী পাড়া, পশ্চিম সুলতানপুর, সরতের দোকান এলাকায় বিপুল পরিমাণ জমিতে তরমুজ ও বাঙ্গি ক্ষেতের চাষাবাদ করা হয়। এবং প্রতি বছর কোটি টাকার বাঙ্গি ও তরমুজ বিক্রি হয় জানালী হাট ও সরতের দোকান এলাকায়।