স্মার্টফোন ব্যবহার নিষেধ করায় গৃহবধূর আত্মহত্যা

20

লামা প্রতিনিধি

এনড্রয়েড মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে নিষেধ করায় লামায় স্বামীর সাথে অভিমান করে নূরেন রিয়ান তাসফিয়া অপি (২০) নামে এক গৃহবধূ আত্মহত্যা করেছেন। ঘটনাটি ঘটেছে গত সোমবার লামার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের কুমারী এলাকার রাঙারঝিরিতে। অপি রাঙারঝিরির বাসিন্দা মো. মিরাজের স্ত্রী।
স্থানীয় সূত্র জানায়, দেড় বছর আগে লামার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের বড়ছনখোলা গ্রামের বাসিন্দা ও ইউপি সদস্য আবদুর রহিমের ছেলে মিরাজ উদ্দিনের সাথে কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার খুটাখালী ইউনিয়নের শান্তির বাজারের বাসিন্দা নুরুন্নবীর মেয়ে অপির বিয়ে হয়। বিয়ের পর সুখেই ছিলেন তারা।
গত সোমবার সকাল ৯টার দিকে অপিকে এনড্রয়েড মোবাইল সেট ব্যবহার করতে নিষেধ করেন স্বামী মিরাজ উদ্দিন। এতে অভিমান করেন অপি। এর কিছুক্ষণ পর ঘরের দরজা বন্ধ করে সিলিং ফ্যানের সাথে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ফাঁস দেন তিনি। পরে স্বামীসহ ঘরের লোকজন ঘরের দরজা ভেঙে অপিকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখেন। এরপর চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। স্ত্রীর মৃত্যুর খবর শুনে অজ্ঞান হন মিরাজ উদ্দিন। পরে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ কক্সবাজার সদর মর্গে প্রেরণ করেন পুলিশ।
এ বিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দা মো. ফোরকান, নেজাম উদ্দিন ও জান্নাতারা বলেন, মিরাজসহ আমরা দ্রুত দরজা ভেঙে অপিকে উদ্ধার করে চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাই। সেখানে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
অপির শশুর আবদুর রহিম বলেন, আমি মোটরসাইকেলযোগে নির্বাচনী কাজে উপজেলা সদরে যাচিছলাম। কিছুদূর যাওয়ার পর খবর পাই অপি অভিমান করে আত্মহত্যা করেছে। তখন দ্রুত চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যাই।
তিনি বলেন, ফেসবুকে উল্টাপাল্টা মন্তব্য করে আত্মহত্যার বিষয়টিকে ভিন্ন খাতে প্রভাবিত করার চেষ্টা করছেন একটি কুচক্রী মহল। অপিকে কোন ধরনের নির্যাতন করা হয়নি।
লামা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান জানান, প্রাথমিক সুরতহালে অপি গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন, এমন আলামত পাওয়া গেছে। এ নিয়ে কোন পক্ষের অভিযোগ পাইনি।