স্বেচ্ছাচারিতা বন্ধে নাগরিক পরীবিক্ষণ দাবি ক্যাবের

10

 

চট্টগ্রামে করোনা উপসর্গের রোগী ছাড়াও সাধারণ রোগীদেরও বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে চরম স্বেচ্ছাচারিতা, ভোগান্তি, ও বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছেন। রোগীদের সঙ্গে চরম স্বেচ্ছাচারিতায় মেতে উঠেছে চট্টগ্রামের বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকগুলো। চিকিৎসাসেবা বঞ্চিত হচ্ছেন সাধারণ রোগী। বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকের মালিকরা সরকারি নির্দেশনাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে নিজেদের খেয়াল-খুশিমতো পরিচালনা করে আসছে। সরকারি হাসপাতালের আইসিইউ সংকটে করোনা উপসর্গের রোগীদের বেসরকারি হাসপাতাল নিয়ে গেলেও ভর্তি নেয়া হচ্ছে না। করোনা সন্দেহে নগরের কোনো বেসরকারি হাসপাতাল আইসিইউ সাপোর্ট দিচ্ছে না। চিকিৎসাসেবা না পেয়ে সাধারণ মানুষ ক্ষুব্ধ, তাদের অসন্তোষের মাত্রা প্রতিনিয়তই বাড়ছে। এর বাইরে বেসকারি হাসপাতালগুলো বছরের পর বছর চিকিৎসার নামে গলাকাটা ফি আদায় করে মুনাফা করেছে। বর্তমান করোনা মহামারীর সংকটকালীন পরিস্থিতিতেও বেসরকারি হাসপাতালগুলো সাধারণ মানুষের সঙ্গে অমানবিক আচরণ করছে। বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকগুলির সেবা কার্যক্রম তদারকিতে চট্টগ্রামের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনারের নেতৃত্বে মনিটিরং কমিটি গঠিত হলেও কার্যত এ কমিটি কাগুজেই সীমিত আছে। এ অবস্থায় বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকে রোগীদের চিকিৎসায় গলাকাটা ফি আদায়, চরম স্বেচ্ছাচারিতা, রোগী-স্বজনদের চরম ভোগান্তি ও বিড়ম্বনা বন্ধ ও ভোগান্তি নিরসনে নাগরিক পরিবীক্ষণ জোরদারের দাবি জানিয়েছে কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ-ক্যাব।
গতকাল বুধবার গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে ক্যাব কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইন, চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাধারণ সম্পাদক কাজী ইকবাল বাহার ছাবেরী, মহানগর সভাপতি জেসমিন সুলতানা পারু, সাধারণ সম্পাদক অজয় মিত্র শংকু, দক্ষিণ জেলা সভাপতি আবদুল মান্নান ও যুব গ্রুপের সভাপতি চৌধুরী কেএনএম রিয়াদ উপরোক্ত দাবি জানান।
সাধারণ রোগীদের চিকিৎসাসেবা বঞ্চিত হবার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বিবৃতিতে ক্যাব নেতৃবৃন্দ বলেন, করোনা মহামারি শুরুর পর থেকে করোনায় আক্রান্ত ও আক্রান্ত নন-এমন সব রোগীদের চিকিৎসাসেবা পেতে নানা ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে। সরকার সরকারি-বেসরকারি সকল হাসপাতালে সকল রোগীর সেবা নিশ্চিতের নির্দেশনা দিয়েছে। কিন্তু বেসকারি হাসপাতালগুলোতে সাধারণ রোগীরা ভর্তি হতে ও চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। প্রতিদিন কোনো না কোনো সাধারণ রোগী চিকিৎসা না পেয়ে মৃত্যুবরণ করছে। চিকিৎসাসেবা পেতে রোগীদের ভোগান্তি-হয়রানি, লাগামহীন সেবামূল্য আদায়, সরকারি নজরদারির অভাবে বেসরকারি হাসপাতালগুলো স্বেচ্ছাচারিতায় মেতেছে। তাই ভোগান্তি নিরসনে নাগরিক পরিবীক্ষণ জোরদার ও চিহ্নিতদের বিরুদ্ধে কঠিন শাস্তির ব্যবস্থা গ্রহণের বিকল্প নাই। খবর বিজ্ঞপ্তির