স্বাস্থ্য নয়, অন্য খাতের টাকা কানাডা গিয়েছে

27

 

স্বাস্থ্য খাতের কোনো জায়গায় হাজার কোটি টাকা দুর্নীতি হয়েছে এরকম কোনো তথ্য কেউ দেখাতে পারবে কিনা বলে প্রশ্ন করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। একইসঙ্গে তিনি নিজেই উত্তর দিয়ে বলেছেন, কেউ এমন তথ্য দিতে পারবে না, বরং অন্য অনেক খাতের কোটি টাকা কানাডায় চলে গেছে।
করোনায় আক্রান্ত হয়ে অধ্যাপক ডা. মাহমুদ মনোয়ারের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে গতকাল শনিবার রাজধানীর জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
স্বাস্থ্য খাত নিয়ে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআিইবি) প্রকাশিত রিপোর্টে মিথ্যা ও ভুল তথ্য দেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, টিআইবি দেশের স্বাস্থ্য খাতকে নিয়ে একটি অসত্য রিপোর্ট তুলে ধরেছে। তাদের রিপোর্টটি আগাগোড়াই ভুল তথ্য সংবলিত। স্বাস্থ্য খাত নিয়ে তারা (টিআইবি) কেবল সমালোচনা করার জন্যই সমালোচনা করেছে।
তিনি বলেন, টিআইবি বলেছে দেশে কোভিড টেস্টিং সুবিধা বাড়ানো হয়নি। অথচ দেশে এখন করোনার নমুনা পরীক্ষার জন্য একটি থেকে পরীক্ষাগার ৫১০ টি করা হয়েছে। টিআইবি বলেছে, হাসপাতালে বেড বাড়ানো হয়নি, অথচ এখন দেশে করোনা বেড সংখ্যা ১৫ হাজারেরও বেশি। কিছুদিন আগেও ঢাকা নর্থ সিটি কর্পোরেশন হাসপাতালে প্রায় ১ হাজার বেড বাড়ানো হয়েছে, যেখানে প্রায় সবই সেন্ট্রাল অক্সিজেন সুবিধাপ্রাপ্ত এবং সেখানকার অর্ধেক সংখ্যকেই আইসিইউ সুবিধা রয়েছে। টিআইবি বলেছে, দেশে আইসিইউ বেড সংখ্যা বাড়েনি, অথচ করোনার শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশে ৩০০ ভাগ আইসিইউ বাড়ানো হয়েছে।
টিআইবির প্রতিবেদনে ভারতের সাথে ভ্যাক্সিন ক্রয় চুক্তিতে অস্বচ্ছতার কথা বলেছে যা মোটেও সত্য নয় জানিয়ে জাহিদ মালেক বলেন, ভারতের সঙ্গে চুক্তি থেকে শুরু করে সবকিছু ছিল স্বচ্ছ পানির মত পরিষ্কার ও উন্মুক্ত। দেশের সব মানুষই জানে ভারতের সঙ্গে চুক্তিতে কী কী ছিল এবং কেন ভারত চুক্তির অবশিষ্ট টীকা দিতে পারেনি।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী আর বলেন, ভ্যাকসিন কেনার বিষয়ে চীনের সঙ্গে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করা হয়েছে এবং এ বিষয়ে দ্রæতই এ বিষয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলেও প্রত্যাশা রয়েছে সরকারের। খবর বাংলা ট্রিবিউনের