স্বাস্থ্যবিধি মেনেই হোটেল রেস্তোরাঁ পরিচালনা করুন

6

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন বলেছেন, করোনাকালে হোটেল-রেস্তোরাঁগুলো বন্ধ ছিল। এতে তাদের ব্যবসায়িক অনেক ক্ষতি হয়েছে। এ ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে প্রধানমন্ত্রী প্রণোদনা দেয়ার উদ্যোগ নিয়েছেন এবং তা আপনারা পেতে যাচ্ছেন। এখন সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন সামাজিক সচেতনতা। বিশেষজ্ঞদের মতে করোনার সংক্রমণের দ্বিতীয় তরঙ্গ আসছে। তাই আমি অনুরোধ করেবো, হোটেল-রেস্তোরাঁগুলো স্বাস্থ্যবিধি মেনে পরিচালনা করার। সিটি কর্পোরেশন বা অন্যান্য কর্তৃপক্ষের দ্বারা আপনারা যেন কোন হয়রানি বা ক্ষতির সম্মুখিন না হন সে বিষয়ে আমার পূর্ণ সহযোগিতা থাকবে।
গতকাল মঙ্গলবার সকালে আন্দরকিল্লা পুরাতন নগরভবনে সাক্ষাৎ প্রার্থি নগরবাসীর সাথে প্রশাসক এসব কথা বলেন। এই সাক্ষাতে চট্টগ্রাম মহানগর হোটেল-রেস্তোরাঁ মালিক সমিতি চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের আওতাধীন এলাকায় হোটেল ও রেস্তোরাঁর ট্রেড লাইসেন্স নতুন ও নবায়ন ইস্যুর ক্ষেত্রে সমিতির ছাড়পত্রের আবশ্যকতা নিশ্চিত করা, স্ট্রিটফুড বিক্রি বন্ধের দাবি জানান। এই প্রেক্ষিতে প্রশাসক সুজন বলেন, পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে স্ট্রিটফুডের প্রচলন রয়েছে, তেমনি করে আমাদের দেশেও বহুকাল থেকে এই ব্যবসা চলে আসছে। তবে স্ট্রিটফুড বিক্রেতাদের কিছু নিয়ম-নীতি মেনে চলা উচিত।
তিনি হোটেল-রেস্তোরাঁ মালিকদের খাবারে কৃত্রিম রং ও টেস্টিংসল্ট ব্যবহার না করার আহব্বান জানান। বড় কোন দোকানের সামনের পথ অবরুদ্ধ না করা, ময়লা-আবর্জনা চসিক প্রদত্ত বস্তায় ভর্তি করা ও ব্যবসা পরিচালনায় নবায়নকৃত ট্রেড লাইসেন্স দোকানের সামনে প্রদর্শনের নির্দেশনাও দেন তিনি। এভাবে ৩০ জন সাক্ষাৎ প্রার্থী তাদের সমস্যার কথা প্রশাসকের কাছে তুলে ধরেন।
প্রশাসক সবার সাথে একান্তে পৃথক পৃথকভাবে কথা বলেন। যাচাই-বাছাই করে প্রত্যেকের সমস্যা সমাধানের আশ্বাস প্রদান করেন। এ সময় প্রশাসকের একান্ত সচিব মোহাম্মদ আবুল হাশেম উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে চসিক পরিচ্ছন্ন কর্মীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী প্রদান অনুষ্ঠানে নগর প্রশাসক সুজন করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলায় সরকারের পাশাপাশি সকলকে এগিয়ে আসার আহŸান জানান। তিনি বলেন, বিশেষজ্ঞদের মতে করোনা দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হতে যাচ্ছে। এই কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে করোনা ঝুঁকি মোকাবেলায় স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, এজন্য সরকারের পাশাপাশি পাবলিক উদ্যোগে সকলকে এগিয়ে আসতে হবে এবং মাস্কের সুষ্ঠু ব্যবহারের পাশাপাশি সঠিক উপায়ে হাত ধোয়া, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকার কোনো বিকল্প নেই। সমস্ত স্বাস্থ্যবিধি মানতে আমাদের আচরণে পরিবর্তন আনতে হবে। নিজেকে এবং দেশকে সুরক্ষিত রাখতে হবে।
গতকাল বিকেলে টাইগারপাসের চসিক নগরভবনের সম্মেলন কক্ষে ওয়াটার এইড ও ডিএসকে’র যৌথ উদ্যোগে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের পরিচ্ছন্ন কর্মীদের জন্য স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী প্রদানকালে চসিক প্রশাসক এসব কথা বলেন। তিনি আরো বলেন, করোনা মোকাবেলায় মাস্ক ব্যবহার এবং স্বাস্থ্যবিধি মানা নিশ্চিত করতে চসিক মাঠে নামবে। এ সময় ডিএসকের পক্ষ থেকে চসিক পরিচ্ছন্ন বিভাগের সেবকদের জন্য ৯ হাজার ৮শত মাস্ক ও ৩হাজার ২শত হ্যান্ড গøাভস প্রশাসকের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এসময় ডিএসকের প্রকল্প কর্মকর্তা আরেফাতুল জান্নাত, প্রজেক্ট অফিসার উজ্জল শিকদার উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া চসিকের সেবকদের জন্য চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজনের নিকট রোটারি ক্লাব অব চিটাগাং ডাউনটাউনের পক্ষ থেকে ৭শত পিস কটন মাস্ক প্রদান করা হয়। এ সময় চসিক সচিব আবু সাহেদ চৌধুরী, রোটারি ক্লাবের সভাপতি রোটারিয়ান দিদারুল আলম, সহ-সভাপতি রোটারিয়ান আবুল কালাম আজাদ, সচিব রোটারিয়ান ফরহাদুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। বিজ্ঞপ্তি