স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে দোকানির মোবাইল চুরি, গ্রেপ্তার ৪

3

নিজস্ব প্রতিবেদক

নগরীর পাহাড়তলী থানাধীন অলংকার শপিং কমপ্লেক্সে কাপড়ের দোকানে স্বামী-স্ত্রী পরিচয় দিয়ে ড্রাইভারকে কল করার নামে দোকানির মোবাইল নিয়ে পালিয়ে যাওয়া মো. এসকান্দর প্রকাশ শওকতকে (২৮) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
সেইসাথে সাজানো স্ত্রী প্রতারক রিনা বেগম (২১) এবং চোরাই মোবাইল কেনা-বেচার দায়ে নগরীর শাহ আমানত সিটি কর্পোরেশন মার্কেটের মোবাইল সার্জারি নামক দোকানের মালিক মিজানুর রহমানসহ আরও একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গত রবিবার দিবাগত রাতে পৃথক অভিযানে তাদের গ্রেপ্তার করার বিষয়টি জানিয়েছেন পাহাড়তলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- রাউজানের পূর্ব গুজরার মৃত আমির হামজার ছেলে মো. এসকান্দর প্রকাশ শওকত প্রকাশ রাহাদ (২৮) ও একই এলাকার হেলাল চৌধুরীর ছেলে আল শাহিন আব্দুল্লাহ রিজভী, বাঁশখালী খানখানাবাদের জাকের আহম্মদের ছেলে মিজানুর রহমান ও স›দ্বীপের মগদারার বাউলিয়া এলাকার আবুল কালামের মেয়ে রিনা বেগম। ওসি মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান জানান, গত ৩ সেপ্টেম্বর রাত সোয়া নয়টার দিকে পাহাড়তলী থানাধীন অলংকার শপিং কমপ্লেক্স মার্কেটের প্যারিস কর্নার নামক দোকানে স্বামী-স্ত্রী পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন রকমের কাপড় পছন্দ করে এসকান্দর ও রিমা। এ সময় তারা সাড়ে ছয় হাজার টাকা মূল্যের কাপড় ক্রয় করেন। কিন্তু স্বামী এসকান্দর তার মানিব্যাগ খুলে পর্যাপ্ত টাকা না থাকায় তার ড্রাইভারকে কল করতে দোকানদারের মোবাইল ফোনটি দেয়ার জন্য অনুরোধ করে। দোকানি মো. জাবের তার ব্যবহৃত আইফোন ১০ মডেলের ৫০ হাজার টাকা মূল্যের সেটটি তাকে দেন। এসকান্দর তার পছন্দের কাপড়গুলো প্যাকেট করতে বলেন। অপরদিকে স্ত্রী পরিচয়দানকারী রিনা বেগম দোকানির সাথে কথা চালিয়ে যান।
একপর্যায়ে স্বামী দোকানির মোবাইল সেটটি নিয়ে চলে যান। স্ত্রী রিনা বেগম পরবর্তীতে দোকানিকে জানান যে, ঐ লোকটি তার স্বামী নন এবং তিনি কোথায় থাকেন তাও জানেন না। দোকানদার পাহাড়তলী থানা পুলিশের আশ্রয় নিলে পুলিশ তদন্তে নেমে গোয়েন্দা তথ্য ও সিসি টিভি ফুটেজের মাধ্যমে দোকানের কথিত কাস্টমার প্রতারক চোর স্বামী মো. এসকান্দারকে গ্রেপ্তার করে।
ওসি জানান, পরে এসকান্দরের দেয়া তথ্যমতে চোরাই মোবাইল সেটটি কোতোয়ালী থানাধীন শাহ আমানত সিটি কর্পোরেশন মার্কেটের ২য় তলায় ‘মোবাইল সার্জারি’ দোকানের মালিক মিজানুর রহমানের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়। মোবাইল সেটটি মিজানুর রহমান মো. এসকান্দর ও আল শাহিন আব্দুল্লাহ রিজভীর (১৯) কাছ থেকে ১০ হাজার টাকায় কিনেন। পরে মিজানুর রহমান, আল শাহিন আব্দুল্লাহ রিজভী ও রিনা বেগমকে গ্রেপ্তার করা হয়।