স্বামী জ্যোতিশ্বরানন্দ গিরির আবির্ভাব উৎসব

21

যোগাচার্য পরমহংস শ্রীমৎ স্বামী জ্যোতিশ^রানন্দ গিরি মহারাজের ১১৪তম শুভ আবির্ভাব উৎসব ১৩ জানুয়ারি নগরীর জেএমসেন হলে অনুষ্ঠিত হয়। এ উপলক্ষে শঙ্কর মঠ ও মিশন চট্টগ্রাম মহানগর শাখা আয়োজিত বিভিন্ন ধর্মীয় কর্মসূচির মধ্যে ছিল-গুরুপূজা, মঙ্গলারতি, গীতাযজ্ঞ, হরি ওঁ কীর্ত্তন, চণ্ডীপাঠ, গৈরিক ও জাতীয় পতাকা উত্তোলন, অখণ্ড প্রদীপ প্রজ্বালন, দীক্ষাদান, সমাজসেবা কার্যক্রম, সনাতন ধর্ম মহাসম্মেলন, সম্মাননা স্মারক প্রদান, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, দুপুর ও রাতে প্রসাদ বিতরণ। সকাল সাড়ে ১০টায় বেলুন উড্ডয়ন ও শান্তির কপোত অবমুক্তকরণের মাধ্যমে উৎসব উদ্বোধন করেন সীতাকুণ্ড শঙ্কর মঠ ও মিশনের অধ্যক্ষ শ্রীমৎ স্বামী তপনানন্দ গিরি মহারাজ। এরপর বিশ^শান্তি শ্রীশ্রী গীতাযজ্ঞের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে পৌরহিত্য করেন তিনি। শ্রীমৎ জগদীশ্বরানন্দ ব্রহ্মচারী গীতাযজ্ঞ পরিচালনা করেন।
শঙ্কর মঠ ও মিশন চট্টগ্রাম মহানগরীর সভাপতি দানবীর অদুল কান্তি চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক লায়ন সন্তোষ কুমার নন্দীর সঞ্চালনায় সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত সনাতন ধর্ম মহাসম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম রামকৃষ্ণ সেবাশ্রমের অধ্যক্ষ স্বামী শক্তিনাথানন্দ মহারাজ। অতিথি ছিলেন ভারতের হরিদ্বারের গুরুধামের অধ্যক্ষ আচার্য শ্রীমৎ স্বামী জ্যোতিষানন্দ পুরী মহারাজ। ধর্মীয় আলোচক ছিলেন অধ্যাপক স্বদেশ চক্রবর্তী। বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রফেসর ড. জ্যোতি প্রকাশ দত্ত, প্রফেসর ড. তাপসী ঘোষ রায়, প্রফেসর সুকান্ত ভট্টাচার্য, প্রফেসর বিজয় লক্ষী দেবী, প্রফেসর কুশল বরণ চক্রবর্তী ও শ্রীমৎ স্বামী সজলানন্দ গিরি মহারাজ।
শঙ্কর মঠের কর্মকর্তা ও সদস্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন সুলাল কান্তি চৌধুরী, অধ্যাপক তড়িৎ কুমার ভট্টাচার্য, সমীর কান্তি পাল, প্রকৌশলী সুবল চন্দ্র শীল, সাংবাদিক রনজিত কুমার শীল, মাস্টার অজিত কুমার শীল, প্রদীপ মহাজন জহর, অজিত কুমার শীল, লায়ন দিলীপ কুমার শীল, মিশন দত্ত সপু চিত্তরঞ্জন শীল শিবু, কাজল পাল ও মিন্টু শীল প্রমুখ। মঠের সাধু-সন্ন্যাসীবৃন্দ উৎসবে অংশ নেন। বিজ্ঞপ্তি