স্বামীসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

50

যৌতুকের দাবিতে স্বামীর শ্বশুর পরিবারে নির্যাতনের শিকার হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন সরকারি স্কুলের এক শিক্ষিকা। দায়েরকৃত এ মামলায় একই পরিবারের ৪ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে আদালত। মামলার অভিযোগ শুনানি শেষে চট্টগ্রামের বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্র্যাইবুন্যাল-০৩ এর বিচারক জান্নাতুল ফেরদৌস আলেয়ার আদালত এ আদেশ দেন।
সূত্র জানায়, অভিযুক্ত আসামি রবিউল হোসেন (৩২) বোয়ালখালী থানাধীন উত্তর গোমদন্ডী এলাকার ফুলচান চৌধুরী বাড়ির বাসিন্দা মো. লোকমান চৌধুরীর (৫৫) ছেলে। তিনি পটিয়া উপজেলা শিক্ষা অফিসে কর্মরত থাকা অবস্থায় স্থানীয় কেলিশহর এলাকার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কর্মরত শিক্ষিকাকে বিয়ে করেন। কিন্তু এর আগেও আসামি রবিউল হোসেন একটি বিয়ে করেছিলেন। শিক্ষিকাকে বিয়ে করার সময় তিনি তার স্ত্রী ও সন্তান থাকার বিষয়টি গোপন করেন। বিয়ের পর থেকেই আসামি ও তার পরিবার বাদিনীকে ১০ লক্ষ টাকা যৌতুকের দাবিতে নির্যাতন শুরু করেন। সর্বশেষ গত ১২ই জুন বিকাল ৩ টায় পটিয়া কলেজ সংলগ্ন হাজী সরু মিয়ার বিল্ডিংয়ে ভিকটিমের ভাড়া বাসায় যৌতুকের দাবিতে তার স্বামী রবিউল হোসেন, শ্বশুর মো. লোকমান চৌধুরী (৫৫), শাশুড়ি নূর নাহার বেগম (৫০) এবং ননদ রাজু আক্তার (২৫) বাদিকে মারধর করেন। এসময় স্কুল শিক্ষিকার চিৎকারে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে আসামিরা পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে ওই শিক্ষিকাকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায় তার ভাই।
মানবাধিকার সংগঠন বাংলদেশ হিউম্যান রাইটস ফাউন্ডেশন- বিএইচআরএফ এর আইনি সহায়তায় গত ১৩ জুন চট্টগ্রামের বিজ্ঞ নারী শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুন্যাল-০৩ আদালতে ফৌজদারি অভিযোগ দায়ের করেন ওই শিক্ষিকা। আদালত গতকাল রিপোর্ট শুনানি, বাদিনীর বক্তব্য গ্রহণ ও নথিপত্র পর্যালোচনা শেষে অভিযোগ আমলে নিয়ে সকল আসামিদের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। বিজ্ঞপ্তি