স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের পূর্বাভাস ছিল বঙ্গবন্ধুর ৬ দফা

11

চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর ৬ দফার ঘোষণা ছিল বাঙালি জাতি সত্তা ও স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের পূর্ব সংকেত। ১৯৬৬ সালের এই দিনে ঢাকা চট্টগ্রামসহ সমগ্র বাংলাদেশের রাজপথ মনু মিয়াসহ ১১ জন শহীদের রক্তে রঞ্জিত হয়েছিল। ১৯৬৬ সালের ৫ ফেব্রæয়ারি বঙ্গবন্ধু যখন লাহোরে পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তানের বিরোধী দলের কনভেনশনে ৬ দফার রূপরেখা ঘোষণা দিয়েছিলেন তখন অনেক রাজনৈতিক নেতা বিচ্ছিন্নতাবাদের গন্ধ আবিষ্কার করে। এমনকি আওয়ামী লীগের অনেক নেতাও সেদিন ৬ দফার বিরোধিতা করেছিল। এটা সত্য যে, চট্টগ্রাম আওয়ামী লীগ সর্বপ্রথম বঙ্গবন্ধুর ৬ দফাকে সমর্থন করে প্রথম বিবৃতি দেয় এবং ৬৬ সালের ২৫ ফেব্রæয়ারি ঐতিহাসিক লালদীঘির ময়দানে এমএ আজিজ এবং জহুর আহমদ চৌধুরীকে পাশে বসিয়ে প্রকাশ্য জনসভায় জাতির কাছে ৬ দফা উপস্থাপন করেন। কারণ বঙ্গবন্ধু জানতেন চট্টগ্রাম আওয়ামী লীগ কখনো বেঈমানী করবে না।
গতকাল মঙ্গলবার ঐতিহাসিক ৬ দফা দিবস উপলক্ষে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, আমাদের দুর্ভাগ্য যে- বঙ্গবন্ধু যখন যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশ গঠনের প্রক্রিয়া শুরু করেন তখন মাত্র সাড়ে তিন বছর সময় পেয়েছিলেন। ৭১ এর পরাজিত শক্তির প্রত্যক্ষ ইন্ধনে দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রের জাল বুনে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করা হয়। তারপর জিয়াউর রহমান-এরশাদ-খালেদা জিয়া দীর্ঘ ২১ বছর এদেশকে পাকিস্তানী ভাবধারায় পরিচালিত করে। বঙ্গবন্ধুর খুনিদের হত্যার দায়মুক্তি দিয়ে তাদেরকে দেশ-বিদেশে পুনর্বাসিত করা হয়।
তিনি বিএনপিকে হুঁশিয়ার করে দিয়ে বলেন, দেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য কোনো নাশকতা করা হলে রাজপথে থেকে তার দাঁতভাঙ্গা জবাব দেওয়া হবে। কারণ আওয়ামী লীগ রাজপথ থেকে উঠে এসেছে, আছে এবং থাকবে।
নগর কমিটির প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক শফিকুল ইসলাম ফারুকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ জাতীয় পরিষদের সদস্য, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নঈম উদ্দিন চৌধুরী, অ্যাড. ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল, এম. জহিরুল আলম দোভাষ, উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য শেখ মাহমুদ ইসহাক, শিল্প ও বাণিজ্য সম্পাদক মাহবুবুল হক মিয়া, সাংস্কৃতিক সম্পাদক আবু তাহের, উপ-প্রচার সম্পাদক শহিদুল আলম, নির্বাহী সদস্য পেয়ার মোহাম্মদ, থানা আওয়ামী লীগের সাহাব উদ্দিন আহমেদ, অধ্যাপক আসলাম হোসেন, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের মো. জানে আলম, আসিফ খান। সভামঞ্চে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আলতাফ হোসেন চৌধুরী বাচ্চু, উপদেষ্টা শফর আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক নোমান আল মাহমুদ, শফিক আদনান, চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনী, দপ্তর সম্পাদক হাসান মাহমুদ সমশের, আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাড. শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী, তথ্য ও গবেষণা সম্পদক চন্দন ধর, ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক হাজী মোহাম্মদ হোসেন, মহিলা সম্পাদিকা জুবায়েরা নার্গিস খান, যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক দিদারুল আলম চৌধুরী, কার্যনির্বাহী সদস্য সাইফুদ্দিন খালেদ বাহার, রোটারিয়ান মো. ইলিয়াছ, থানা আওয়ামী লীগের ছিদ্দিক আলম, হারুন অর রশীদ, কাজী আলতাফ হোসেন আনছারুল হক, রেজাউল করিম কায়সার, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের নুর মোহাম্মদ নুরু, নুরুল আজিম নুরু, আবুল কাশেম, আব্দুল মান্নান, নাজিম উদ্দিন চৌধুরী, অ্যাড. আইয়ুব খান, দিলদার খান দিলু, আবুল বশর, জসিম উদ্দিন, নাজিমুর ইসলাম মজুমদার, ইফতেখার আলম জাহেদ, ইকবাল চৌধুরী প্রমুখ। বিজ্ঞপ্তি