স্বাধীনতা হত্যার উদ্দেশ্যেই বঙ্গবন্ধুকে হত্যা : তথ্যমন্ত্রী

8

বোয়ালখালী প্রতিনিধি

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যা একজন রাষ্ট্রপতি বা রাষ্ট্র নায়ককে হত্যা, তা নয়। এদেশের স্বাধীনতাকে হত্যা করার উদ্দেশ্যেই বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়েছিল। আর সেই হত্যাকান্ডের অন্যতম প্রধান কুশীলব ছিল বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ফজরের আলো ফোটার আগে যখন বঙ্গবন্ধু হত্যার সংবাদ জিয়াউর রহমানের কাছে পৌঁছে দেয়া হয়, তখন সেই ভোরবেলা সুটেট-বুটেট অবস্থায় থাকা জিয়ার স্বাভাবিক জবাব ছিল, কি হয়েছে তাতে, উপরাষ্ট্রপতি তো আছে ! তখন তিনি পোশাক পড়ে তৈরি ছিল বঙ্গবন্ধুর হত্যাকান্ডের খবরের অপেক্ষায়।
শনিবার (১৩ আগস্ট) সন্ধ্যায় বোয়ালখালীর শ্রীপুর-খরণদ্বীপ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের আয়োজনে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
বোয়ালখালীর শ্রীপুর-খরণদ্বীপ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি রতন চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন খোকনের সঞ্চালনায় এতে প্রধান বক্তা ছিলেন মোছলেম উদ্দিন আহমদ এমপি।
তিনি বলেন, কয়দিন আগে বিএনপির নেতৃত্বে সমাবেশ হয়েছিল নয়াপল্টনে। সেখানে এই রাজনীতির কাকেরা যেভাবে বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী ও আমাদের দলের সাধারণ সম্পাদক সম্পর্কে কথা বললেন, সেই ধরনের কথা আমাদের রুচিতে বাঁধে। কিন্তু আমি যদি বলি তাদের নেতাকর্মীরা লজ্জায় মুখ দেখাতে পারবেনা।
তিনি আরো বলেন, ১৯৭১ সালে কারো বাড়িতে যদি কোন মুক্তিযোদ্ধা এক গ্লাস পানি খেয়েছে, সেই খবর যদি পাকিস্তানি আর্মি কিংবা রাজাকাররা পেয়েছে, সেই বাড়িতে লুট হয়েছে, অথবা জ্বালিয়ে দিয়েছে, নইলে কোন যুবক ছেলে থাকলে ধরে নিয়ে গেছে। দেশে মুক্তিযুদ্ধ চলছে, জিয়াউর রহমান রণাঙ্গনে, আর বেগম খালেদা জিয়া পাকিস্তানিদের ক্যান্টনমেন্টে আরাম-আয়েশে থাকে। ভেতরের বিষয়টা কি? আমি লজ্জায় এটা বলতে পারবনা।
আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন, উপজেলা চেয়ারম্যান নুরুল আলম, আওয়ামী লীগ নেতা বোরহান উদ্দিন এমরান, শাহনেওয়াজ হায়দার শাহিন, আবুল কাশেম চিশতী, নিজাম উদ্দিন বাদশা, উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি নুরুল আমিন চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক শাহদাত হোসেন, পৌর মেয়র জহুরুল ইসলাম জহুর ও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মোকারম।