দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী বলেছেন, আওয়ামী লীগ একাধিক কঠিন সময় পার করে এসেছে। কঠিনকে জয় করার অভিজ্ঞতাই আওয়ামী লীগের প্রাণশক্তি। আওয়ামী লীগ কোন দুঃসময়ে ভেঙে পড়েনি। নিবেদিত প্রাণ নেতাকর্মীদের প্রচেষ্টায় বারবার ঘুরে দাঁড়িয়েছে। তাই আওয়ামী লীগ কখনো বিনাশ হবে না।
তিনি শুক্রবার দুপুরে বোয়ালখালীর শাকপুরায় দারুল সুন্নাত মাদ্রাসায় জুমার নামাজ আদায় করে চট্টগ্রাম-৮ আসনের উপ-নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী নোমান আল মাহমুদের সমর্থনে গণসংযোগকালে একথা বলেন।
মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেছেন, স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তি জনগণের মিত্র হতে পারে না। বিএনপি-জামায়াত কখনো গণতান্ত্রিক শক্তি হতে পারে না। একাত্তরে জামায়াত পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর সহযোদ্ধা ছিল। স্বাধীন দেশে বিএনপি জামায়াতকে পুরুজ্জীবিত করেছে। যুদ্ধাপরাধীদের মন্ত্রী বানিয়েছে। এমনকি বঙ্গবন্ধুর খুনীদের দায় মুক্তির জন্য ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারি করেছে। এই দুই অপশক্তি কখনো একটি স্বাধীন দেশের জনগণের মিত্র হতে পারে না।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে জনগণের সাথে কখনো প্রতারণা করেনি। এজন্য বারবার ক্ষমতায় এসেছে এবং ক্ষমতায় থাকবে। কারণ জনগণ বোঝে আওয়ামী লীগ ছাড়া তাদের ভাগ্য পরিবর্তনের কোন বিকল্প নেই। তাই এবারও নৌকার প্রার্থীর বিজয়কে জনগণ সুনিশ্চিত করবে। নোমান আল মাহমুদ বিজয়ী হলে জনগণের চাওয়ার পাওয়ার বাস্তব প্রতিফলন ঘটাবেন। তিনি জনবান্ধব রাজনীতিক।
দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান বলেন, যারা আওয়ামী লীগকে রুখতে চেয়েছে, তারাই বড় ধাক্কা খেয়ে চিৎপটাং হয়েছে। এটাই সত্য এবং অনিবার্য।
নোমান আল মাহমুদ বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আছে বলেই জনগণের প্রত্যাশা আওয়ামী লীগকে ঘিরে। কারণ আওয়ামী লীগের জন্ম-উত্থান জনগণের মধ্য দিয়ে। মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা করাই আওয়ামী লীগের ঐতিহ্য। আমি এই ঐতিহ্যের প্রতিনিধিত্বকারী হিসেবে জনগণের সেবা করতে চাই।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা আলহাজ সফর আলী, তিমির বরণ চৌধুরী, হাজী বেলাল আহমদ, নুরুল আমিন চৌধুরী, রেজাউল করিম রাজা, শামীম আরা বেগম, রেজাউল করিম বাবুল, জহুরুল ইসলাম জহুর, মো. শফি, বোরহান উদ্দীন প্রমুখ। বিজ্ঞপ্তি
