স্বাধীনতা পুরস্কার পাচ্ছেন আখতারুজ্জামান বাবু

100

বাংলাদেশের স্বাধীনতার সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধে বিশেষ অবদানের জন্য ‘স্বাধীনতা পুরস্কার ২০২১’র জন্য মনোনীত (মরণোত্তর) হয়েছেন আওয়ামী লীগের সাবেক প্রেসিডিয়াম সদস্য, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক প্রয়াত আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবু।
বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে প্রয়াত আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবুসহ ৯ ব্যক্তি ও একটি প্রতিষ্ঠান রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ এ পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছেন। গতকাল রবিবার মনোনীতদের নাম প্রকাশ করেছে মন্ত্রী পরিষদ বিভাগ।
মনোনীত অন্যরা হচ্ছেন প্রয়াত আহসানউল্লাহ মাস্টার, প্রয়াত একেএম বজলুর রহমান, প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল খুরশিদ উদ্দিন আহমেদ, কবি মহাদেব সাহা, চলচ্চিত্রকার-গীতিকার গাজী মাজহারুল আনোয়ার, নাট্যজন আতাউর রহমান, ড. মৃন্ময় গুহ নিয়োগী, অধ্যাপক ডা. এম আমজাদ হোসেন। গবেষণা ও প্রশিক্ষণে প্রতিষ্ঠান হিসেবে পুরস্কার পাচ্ছে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল।
এদিকে আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবু স্বাধীনতা পুরস্কারের জন্য মনোনীত হওয়ায় আনোয়ারা ও কর্ণফুলী উপজেলার মানুষ আনন্দে ভাসছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অভিনন্দন জানাচ্ছেন আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মী থেকে শুরু করে তাঁর শুভাকাক্সক্ষী ও শুভানুধ্যায়ীরা।
উল্লেখ্য, আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবু বঙ্গবন্ধুর সাহচর্যে থেকে রাজনীতি করেন। মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক হিসেবে কাজ করেন। ‘স্বাধীনতার ঘোষণা’ চট্টগ্রামের জুপিটার হাউস থেকে ছাপিয়ে সর্বত্র বিলি করার ব্যবস্থা করেন তিনি।
স্বাধীনতা পরবর্তী তিনি বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে দেশ গড়ার কাজে নেমে পড়েন। ৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু হত্যার পর আওয়ামী লীগের দুঃসময়ে তিনি দলের জন্য নিবেদিত প্রাণ ছিলেন। কখনো দলের সাথে বেঈমানি করেননি।
বর্তমানে আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবু বেঁচে নেই। তাঁর যোগ্য উত্তরসূরী জ্যেষ্ঠপুত্র সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ ভূমি মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসাবে সুনামের সাথে কাজ করে যাচ্ছেন।
আনোয়ারা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যাপক এম এ মান্নান চৌধুরী বলেন, আজ আমারা সবাই আনন্দে, উদ্বেলিত। গর্বে বুকটা ভরে যাচ্ছে। যে নেতার আদর্শ নিয়ে রাজনীতি করি, তিনি আজ রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পুরস্কারে ভ‚ষিত। তাঁর নগণ্যকর্মী হিসেবে নিজেকে ধন্য মনে করছি। আজ বাবু ভাই বেঁচে থাকলে অত্যন্ত খুশি হতেন।
আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবুর জ্যেষ্ঠপুত্র ও ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ মুঠোফোনে বলেন, আমার বাবা আজীবন দেশের জন্য, দেশের মানুষের জন্য কাজ করে গেছেন। দেশ ও দলের জন্য তিনি নিজের জীবনকে বিলিয়ে দিয়েছিলেন। আজকে তারই স্বীকৃতি মিলেছে। আমার বাবার প্রতি রাষ্ট্রের এ সর্বোচ্চ সম্মানে তাঁর সন্তান হিসেবে গর্ববোধ করছি। তাঁর এ সম্মানে আনোয়ারা-কর্ণফুলীসহ সারাদেশের মানুষ আনন্দিত হয়েছে।